পাকিস্তান নৌবাহিনীর জন্য তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা শিপইয়ার্ড- আসফাত (এএসএফএটি)-এর তৈরি বাবর-শ্রেণীর করভেট পিএনএস খাইবার (এফ-২৮২) যুদ্ধের সক্ষমতা পরীক্ষা শুরু করেছে।
পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে ‘মিলজেম’ শীর্ষক যে নৌ-সহযোগিতা কর্মসূচি রয়েছে তার আওতায় পিএনএস খাইবার নির্মাণ করা হয়। এটা দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সাগরে পরীক্ষায় পিএনএস খাইবারের সাথে তুরস্কের আরেকটি অফশোর পেট্রোল বোট অংশ নেয়।
খাইবার হলো মিলজেম-আডা শ্রেণীর ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে তৈরি অত্যন্ত কার্যকর একটি মাল্টি-মিশন কর্ভেট। ১০৮.২ মিটার দীর্ঘ এবং প্রায় ৩,০০০ টন ওজনের যুদ্ধ জাহাজটি একই সঙ্গে ডিজেল ও গ্যাস টারবাইন প্রপালশন সিস্টেমে চলবে। এর গতি ২৯ নটিক্যাল মাইল এবং পাল্লা ৩,৫০০ নটিক্যাল মাইল।
পিএনএস খাইবারে রয়েছে আসেলসানের তৈরি হিজির টর্পেডো কাউন্টারমেজার স্যুট, স্মার্ট এস এমকে২ থ্রিডি রাডার, সী-আই ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর এবং আলবাট্রস এনজি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এতে ছয়টি পি-২৮২ হাইপারসনিক সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল, একটি লিওনার্দো ৭৬ মিমি সুপার র্যাপিডো গান এবং আসেলসানের তৈরি ডাবল-ব্যারেল গোকডেনিজ ক্লোজ-ইন-উইপন সিস্টেম। এসব অস্ত্র খাইবারকে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক কর্ভেটগুলোর একটিতে পরিণত করেছে।
২০১৮ সালে শুরু হওয়া মিলজেম কর্মসূচির আওতায় পাকিস্তান নৌবাহিনীর জন্য চারটি বাবর-শ্রেণীর করভেট তৈরি করছে তুরস্ক। ইতোমধ্যে আরো দুটি পাকিস্তানকে হস্তান্তর করা হয়েছে। পিএনএস খাইবার হল এই কর্মসূচির তৃতীয় যুদ্ধ জাহাজ। বাবর-শ্রেণীর করভেট ইসরায়েলের সা’র-৬ বা রাশিয়ার স্টেরেগুশচি-শ্রেণীর চেয়েও উন্নত। বিশেষ করে এতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, বহুজাতিক সেন্সর এবং অস্ত্র ব্যবস্থার মধ্যে চমৎকারভাবে সমন্বয় সাধন করা হয়েছে।
এই প্রোগ্রাম ভারত মহাসাগরে পাকিস্তানের সামুদ্রিক কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র-সজ্জিত বাবর-শ্রেণীর করভেট ভারতের জন্য নতুন কৌশলগত চ্যালেঞ্জ। পিএনএম খাইবারের অপারেশনাল মোতায়েন পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়নোর পাশাপাশি ভারতের ক্রমবর্ধমান নৌশক্তির জন্য একটি পাল্টা ও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরোধক তৈরি করবে।
আর্মিরিকগনিশন
