জুলাই বিপ্লবীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ

জুলাই বিপ্লবীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ
শরীফ ওসমান হাদি

জুলাই বিপ্লবের অগ্রসেনানী ও ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর শরীফ ওসমান হাদি আর বেঁচে নেই। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় তিনি মরা যান। তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর। তার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ পুরো বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি শনিবার (২০ জুলাই) রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন। এর আগে ওসমান হাদির সংগঠন ‘ইনকিলাব মঞ্চের’ ফেসবুক পেজে মৃত্যুর খবর প্রচার করা হয়।

ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই সারা দেশ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজু চত্বরে জড়ো হয়ে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। রাজধানীর অন্যান্য সড়কেও বিক্ষোভ মিছিল ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’, ‘জাহাঙ্গীরের গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘আমরা সবাই হাদি হব, গুলির মুখে কথা কব’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়। রাতে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর অফিস এবং ফার্মগেটে ডেইলি স্টার ভবনে আক্রমণ ও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করা হয়। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

ওসমান হাদির পরিবার ও সরকারের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ ওসমান হাদির লাশ দেশে আনা হবে। আগামীকাল শনিবার বাদ জোহর ঢাকার মানিকমিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জানাজা হবে সিঙ্গাপুরে দ্য আঙ্গোলিয়া মসজিদে। বিষয়টি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। তবে, দাফন কোথায় হবে এটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঢাকাতেই তার দাফন হতে পারে বলে জানা গেছে। সরকারের তরফ থেকে আজ বাদ জুমা সারা দেশের সব মসজিদে হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের তরফ থেকে হাদির পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো হবে না। প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে ধৈর্য ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান। গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঘাতকরা ওসমান হাদিকে গুলি করে। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। গত সোমবার দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন ছিল। গতকাল পরিবারের সম্মতিতে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে তার মস্তিষ্ক থেকে গুলি বের করার জন্য অস্ত্রোপচার করেন। কিন্তু তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। হাদি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি। তাকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার এই ঘটনার পরপরই দেশে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার এই নতুন নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলায় সারা দেশ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই একজন সম্ভাব্য প্রার্থীকে হত্যাচেষ্টায় রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

এদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার মাসখানেক আগে হাদি হত্যার হুমকি পাওয়ার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন। গত মাসে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, দেশি-বিদেশি অন্তত ৩০টি নম্বর থেকে তাকে ফোন ও মেসেজ পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওই পোস্টে তিনি আরো লেখেন, আওয়ামী লীগের খুনি সমর্থকেরা তাকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখছে। তবে জীবননাশের আশঙ্কা সত্ত্বেও ইনসাফের লড়াই থেকে পিছিয়ে যাবেন না।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা ফয়সাল করিম মাসুদকে (দাউদ খান) শনাক্ত করে। তবে ঘটনার পরপরই ওই আসামি ভারতে পালিয়ে গেছে বলে দেশের গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন। ঘটনাটি পরিকল্পনারই অংশ ছিল বলে জানতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কয়েকটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ১২ ডিসেম্বর হাদির ওপর হামলার পর মোটরসাইকেল লুকিয়ে রেখে দ্রুত ঢাকা ছাড়ে সন্দেহভাজন ফয়সাল ও চালক আলমগীর শেখ। তারা একটি প্রাইভেটকারে করে প্রথমে ময়মনসিংহে যায়। সেখানে আবার গাড়ি পরিবর্তন করে আরেকটি মোটরসাইকেলে করে যায় সীমান্তে। এরপর শূন্যরেখা পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে যায় দুজন। তারা দালালের মাধ্যমে সীমান্ত অতিক্রম করে। তবে তারা পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যদের চোখ কীভাবে ফাঁকি দিতে পারল তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এতে আর কোনো পক্ষ তথা দেশীয় কোনো অপশক্তির যোগসাজশ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, দেশে যেকোনো স্থানে থাকলে তারা গ্রেপ্তার হতে পারে এই ভয়ে ভারতে পালিয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে মোবাইল ফোন না থাকায় কোনো নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করা যায়নি।

ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক ও গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির (৭০) ও মা হাসি বেগম (৬০), স্ত্রী সাহেদা পারভিন সামিয়া ও শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু রয়েছেন। ফয়সালের বাবা-মা এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার বাকি ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, কবির, আব্দুল হান্নান, হিরন, রাজ্জাক, ফয়সালের বান্ধবী মারিয়া আক্তার, সিমিরন দিও ও সঞ্জয় চিসিম। এছাড়া ঘটনায় ব্যবহৃত মটরসাইকেলসহ কিছু আলামত উদ্ধার হয়েছে।

ওসমান হাদি রাজনীতির লাইমলাইটে যেভাবে

ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে লেখাপড়া শেষ করা শরীফ ওসমান হাদি। পাশাপাশি একটি ইংরেজি শিক্ষার কোচিংয়েও ক্লাস নিতেন তিনি। শিক্ষাজীবন থেকেই রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বরিশালের ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থেকে উঠে আসা এই যুবক। ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদরাসা থেকে আলিম পাস করে ওসমান হাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সক্রিয় কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। মূলত ২০২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থান তাকে তুলে আনে রাজনীতির মঞ্চে।

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় নানা ভূমিকার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন হাদি। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চ গঠন এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে তার দেওয়া নানা বক্তব্য আলোচনার জন্ম দেয়। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন তিনি। শেখ মুজিবের বাসভবন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে ‘ফ্যাসিবাদের আঁতুড়ঘর’ আখ্যায়িত করে গত ফেব্রুয়ারিতে ছাত্র-জনতা ওই বাড়ি ভাঙার যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তাতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন হাদি।

ইনকিলাব মঞ্চ গঠনের পর জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি রক্ষা, অপরাধীদের বিচার, আহত-নিহত ব্যক্তিদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তুলে সভা-সমাবেশ শুরু করেন হাদি। যা তাকে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সমস্ত আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ—ইনকিলাব মঞ্চের এই লক্ষ্য এবং এ প্ল্যাটফর্ম থেকে তার দেওয়া আওয়ামী লীগ ও ভারতবিরোধী নানা বক্তব্য তাকে তৈরি করে দেয় একটি সমর্থক গোষ্ঠী।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর হাদি জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে যুক্ত হলেও জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের হাত ধরে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেননি। বরং ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে কয়েক মাস ধরে মাঠে সক্রিয় ছিলেন। ফজরের নামাজের পর মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে ভোট চাওয়া, বাতাসা-মুড়ি নিয়ে প্রচার, ভোটার ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুদান ও ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ—সবই তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরতেন।

রাজনৈতিক নেতাদের শোক

শরীফ ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শোকবার্তায় তারেক রহমান বলেন, হাদির অকাল শহীদি মৃত্যু আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়—রাজনৈতিক সহিংসতা কত বড় মানবিক মূল্য দাবি করে। শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন এক সাহসী রাজনৈতিক কর্মী ও নির্ভীক কণ্ঠস্বর, যিনি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে এ ধরনের সহিংস ঘটনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে এবং দেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং আপসহীন জুলাইযোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদির শাহাদাতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন একজন সাহসী জুলাইযোদ্ধা ও সাচ্চা দেশপ্রেমিক। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথানত করেননি। তার কণ্ঠ ছিল সব আধিপত্যবাদী শক্তি ও অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। তিনি ছিলেন আপসহীন এক যোদ্ধা। দুনিয়ার কোনো লোভ-লালসা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি।

শোকি জানিয়েছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। শোকবার্তায় তিনি ওসমান হাদির হত্যাকারী, নির্দেশদাতা ও চক্রান্তকারীদের সরকারের সব শক্তি নিয়োজিত করে হলেও শান্তির আওতায় আনতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আধিপত্যবাদের দালালদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গণঅধিকার পরিষদ, নির্বাচন কমিশন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জাতীয় পার্টি, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ; জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম ও মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ; জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির; খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ ও বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী ফেসবুক পোস্টে শোক প্রকাশ করে বলেন, আবরার ফাহাদ-আবু সাঈদের কাতারে যুক্ত হলেন—ওসমান হাদি। আল্লাহ ওসমান হাদির আত্মত্যাগকে কবুল করুন, শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিন।