রাখাইন রাজ্যের জাতিগত প্রতিরোধ বাহিনী আরাকান আর্মি (এএ) কিয়াকফিউ টাউনশিপে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দানিয়াওয়াদ্দি নৌঘাঁটির কাছাকাছি পৌছে গেছে । বুধবার (১৬ জুলাই) ঘাঁটি থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে একটি সামরিক ফাঁড়িতে তীব্র সংঘর্ষ চলার খবর দিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।
স্থানীয়রা জানায়, সেনা সরকার নৌঘাঁটি রক্ষায় এর চারপাশে ডজন খানেক ফাঁড়ি স্থাপন করেছে। এর একটি – কাঠাব্যায় গ্রামে। সেখানে চলতি মাসের শুরু থেকেই এএ আক্রমণ চালিয়ে আসছে।
কিয়াকফিউর একজন বাসিন্দা বলেন, নৌঘাঁটির কাছে টানা ছয় দিন ধরে সংঘর্ষ চলছে । মিয়ানমার সেনাবাহিনী ড্রোন হামলা চালাচ্ছে।
ফাঁড়িগুলোর পতন হলে নৌঘাঁটি দখল করা সহজ হবে বলে এএ-এর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যম ইরাবতীকে জানিয়েছে।
এএ ইতিমধ্যেই কিয়াকফিউ শহরকে দানিয়াওয়াদ্দির সাথে সংযোগকারী রাস্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
রাখাইনের ১৭টি শহরতলির মধ্যে ১৪টি এখন এএ’র দখলে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কিয়াকফিউ রক্ষায় জান্তাকে সাহায্য করছে চীন। এখানে চীনা অর্থায়নে পরিচালিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প এবং ইউনান প্রদেশে সরবরাহকারী তেল ও গ্যাস পাইপলাইনের সংযোগ রয়েছে।
৩২ নম্বর পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং চীনের বিনিয়োগ করা গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং একটি উপকূলীয় গ্যাস টার্মিনাল পাহারা দেওয়া সরকারি ফাঁড়িগুলোতেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, তিনটি স্থানে তীব্র লড়াই চলছে । সরকারি সেনারা বিমান সহায়তা পাচ্ছে না। তবে প্রতিদিন ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। চীন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ড্রোন অপারেটর এবং অনেক নতুন ড্রোন আনা হয়েছে।
বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তে এবং মানাউংসহ মাত্র তিনটি শহর জান্তার নিয়ন্ত্রণে। সিত্তে ঘিরে লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
এএ সেনারা মাগওয়ে, বাগো এবং আইয়ারওয়াদি অঞ্চলেও অভিযান শুরু করেছে এবং সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে আরও কিছু এলাকা দখল করেছে।