মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর আরেকটি জঙ্গিবিমান ভূপাতিত করেছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। মঙ্গলবার (১ জুলাই) কারেনি (কায়া) রাজ্যের হপাসাওং শহরে এটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। বাগো অঞ্চলের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামের কাছে যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে। দ্যা ইরাবতী
কারেনি ন্যাশনালিটিস ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) দাবি করে মঙ্গলবার রাতে প্রতিরোধ যোদ্ধারা হপাসাওং-এ জান্তার পদাতিক ব্যাটালিয়নের ১৩৪ এবং ১৩৫ সদর দপ্তরে আক্রমণ করার সময় এফটিসি-২০০০জি জঙ্গিবিমানটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। এই বিমান সরকারি বাহিনীকে সহায়তা করছিল।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) কেএনডিএফ-এর ডেপুটি কমান্ডার মাউই (মারউই) তার ফেসবুকে ধ্বংসাবশেষের ছবি ওএকটি ভিডিও শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, জঙ্গিবিমানের ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ বাহিনী উল্লাস করছে।
মিয়ানমার সরকার জঙ্গিবিমান হারানোর কথা স্বীকার করেছে। রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এটি নিখোঁজ হয়েছে বলে সরকার জানায়। তবে এর জন্য যান্ত্রিক ত্রুটি বা চরম আবহাওয়াকে দায়ী করেছে। এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সামরিক বিমান চলাচল পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী ‘এনিমি এয়ার রুট চ্যানেল’ জানায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে দক্ষিণ-পূর্বে মেইকটিলার নেপিদো এবং শান্তে বিমান ঘাঁটি থেকে চারটি জঙ্গিবিমান এবং একটি পরিবহন বিমান উড্ডয়ন করে।
চীনে তৈরি এফটিসি-২০০০জি-এর মূল্য ৮.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালে সরকার চীন থেকে এ ধরনের ছয়টি জেট কিনে এবং এগুলো উত্তর শান রাজ্যের নামহসান বিমান ঘাঁটিতে দুটি ব্যাচে সরবরাহ করা হয়।
ব্যাপকভাবে শেয়ার করা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রতিরোধ বাহিনী ১৩৪ ব্যাটালিয়ন দখল করছে। এ সময় তারা অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ কয়েক ডজন সরকারী সেনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে ১০ জুন, সরকার বিরোধী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সাগাইং অঞ্চলের পালেতে কান ডাউক থানা দখলের যুদ্ধের সময় জান্তার আরেকটি জঙ্গিবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করে। জান্তা সরকার দাবি করে যে মহড়া চালানোর সময় ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে এটি বিধ্বস্ত হয়।
২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পর থেকে রাখাইন, কাচিন, শান, কারেনি এবং কারেন রাজ্য এবং সাগাইং অঞ্চলে প্রতিরোধ বাহিনীর সাথে যুদ্ধে জান্তা কমপক্ষে ১০টি বিমান হারিয়েছে। এর মধ্যে চারটি যুদ্ধবিমান, পাঁচটি হেলিকপ্টার এবং একটি হেলিকপ্টার গানশিপ।