ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) -এর প্রধান, আজেন্টাইন নাগরিক রাফায়েল গ্রোসি ইসরায়েলি গুপ্তচর বলে অভিযোগ এনেছে ইরানের অতি-রক্ষণশীল সংবাদপত্র ‘কায়হান’। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি তুলেছে পত্রিকাটি।
পত্রিকাটি দাবি করে যে, অনির্দিষ্ট নথিতে গ্রোসিকে একজন ইসরায়েলি গুপ্তচর হিসেবে দেখানো হয়েছে।
সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, এই বিষয়টি আমাদের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা উচিৎ। গ্রোসি যদি কখনও ইরানের মাটিতে পা রাখেন, তাহলে আমাদের দেশের জনগণকে হত্যায় যুক্ত থাকা ও মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।’
এই খবরের প্রেক্ষিতে মার্কিন সম্প্রচারক সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি বলেন, ‘না, জাতিসংঘের পারমাণবিক পরিদর্শক বা মহাপরিচালক ইরানে এসে হুমকির মুখে পড়বেন না।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ইরানে পরিদর্শকরা ‘নিরাপদ অবস্থায়’ আছেন। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি আমেরিকান ও ইসরায়েলি বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া ইরানি পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনের জন্য গ্রোসির অনুরোধকে ‘অর্থহীন’ এবং ‘সম্ভবত উদ্দেশ্যমূলক’ বলে অভিহিত করেছেন।
এই মাসের শুরুতে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর কিছুক্ষণ আগে আইএইএ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তেহরান জাতিসংঘের কাছে কোনো তথ্য না দিয়েই গোপনে পারমাণবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে লেখা এক চিঠিতে ইরানের পরররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে যুদ্ধ শুরু করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করা এবং ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ তাদের পরবর্তী দায়িত্ব পালনের দাবি করেছেন।