ইরানের সাহসী প্রতিরোধ ও পাল্টা ক্ষেপনাস্ত্র হামলা ইসরাইলকে কিংকর্ব্যবিমূঢ় ও সাময়িকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলে। সাম্প্রতিক ইরান-ইসরাইল ও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়ে গেছে যে আধুনিক ও শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখন অপরিহার্য।
শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে আয়োজিত ‘মধ্যপ্রাচ্যের জটিলতা ও বাংলাদেশের পরিণতি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সামরিক বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাফায়াত আহমদ, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর শফিকুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ উজ জামান।
সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ফজলে এলাহি আকবর উদ্বোধনি বক্তব্যে বাংলাদেশের ওপর ইরান-ইসরাইল সংঘাতের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই নাজুক যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে গেলে তা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।
কীভাবে আরব উপদ্বীপের ভৌগলিক ও রাজনৈতিক চিত্র যুগে যুগে পরিবর্তিত হয়েছে এবং ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে তা বিশ্লেষণ করেন প্যানেল আলোচক ব্রিগেডিয়ার শাফায়াত আহমদ।
এয়ার কমোডর শফিকুল ইসলাম বলেন, দুটো যুদ্ধ থেকে শিক্ষা হচ্ছে আধুনিক ও শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
অধ্যাপক রাশেদ উজ জামান বলেন, ইসরাইল তার ভূখণ্ডগত লক্ষ্য এবং পশ্চিমারা তাদের কৌশলগত উদ্দেশ্য হাসিল না করা পর্যন্ত এ সংঘাতের অবসান হবে না।
বৈঠকে সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল নুরুদ্দিন খান, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ম সা আ আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক মামুন আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবুল কালাম, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।