মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীকে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ড্রোন হামলা থেকে রক্ষার জন্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করেছে বেলারুশ। মানবাধিকার গ্রুপ ‘জাস্টিস ফর মিয়ানমার’ এই অভিযোগ করেছে। গ্রুপটি জানিয়েছে যে তারা দুই সরকারের মধ্যে গোপন সামরিক সহযোগিতা বিষয়টি উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে।
ফাঁস হওয়া তথ্যে দেখা যায়, বেলারুশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেলস্পেটসভনেশটেকনিকা মিয়ানমার সরকারকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা ভি৩ডি রাডার সম্বলিত বিমান প্রতিরক্ষা কমান্ড এবং ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করেছে।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করার জন্য এই সিস্টেমে প্যানোরামা অটোমেশন এবং ভোস্টক থ্রি-ডি রাডার রয়েছে। বিশেষ করে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ব্যবহার করা ড্রোন ট্র্যাক করার উপযোগী করে সিস্টেমটি তৈরি করা হয়েছে।
নেপিদো এবং মান্দালয়ের কারখানায় অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিয়ানমার সরকার বিমান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশুনা করার জন্য সেনা সদস্যদের বেলারুশের স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরম্যাটিক্স অ্যান্ড রেডিওইলেক্ট্রনিক্সে পাঠিয়েছে।
মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে ২০২১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বেলারুশ ভোট দেয়।
গত শুক্রবার (২৭ জুন), মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বেলারুশ সফর করেন। এসময় তিনি বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সাথে অস্ত্র বিক্রি ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বেলারুশিয়ান অস্ত্র কোম্পানি অপটিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল অর্গানাইজেশন পরিদর্শন করেন। নাইট-ভিশন ডিভাইস তৈরির জন্য এই প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি রয়েছে।
মিয়ানমারের সরকারি মিডিয়া জানায়, শুক্রবার বেলারুশে অধ্যয়নরত সেনা কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেন মিন অং হ্লাইং এবং তাদেরকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির উপর মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
দ্য ইরাবতী