পাকিস্তানের সেনাপ্রধান অসিম মুনির যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত মুনির বুধবার (১৮ জুন) হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজে মিলিত হন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধানদের ওয়াশিংটন সফর বিরল কিছু নয়। মুনির শেষবার ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে সেনাপ্রধানের দেখা করা অস্বাভাবিক।
এটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা এ কারণে যে গুরুতর বৈদেশিক নীতিগত সংকটের মধ্যে থাকা ট্রাম্প মুনিরের জন্য সময় আলাদা করে রেখেছিলেন। মুনিরের সাথে সাক্ষাতের পেছনে তার অনেক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কাশ্মীর বিরোধ থেকে শুরু করে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ট্রাম্প ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে পাকিস্তান কীভাবে সাহায্য করতে পারে সে সম্পর্কে মুনিরের মতামতও জানতে চাইতে পারেন।
এই বৈঠক নয়াদিল্লিকে বেশ নাখোশ করেছে। জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে ট্রাম্প তড়িঘড়ি চলে যাওয়ায় ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির সাক্ষাত হয়নি। পরে মঙ্গলবার তিনি ৩৫ মিনিট ফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন। ভারতীয়রা বলছে, জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে ট্রাম্প তাড়াতাড়ি চলে যাওয়ায় মোদি সাক্ষাত করতে পারেননি।
ফোনালাপে মোদি পাকিস্তানের সাথে ভারতের সাম্প্রতিক বিরোধের বিষয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরেন। তিনিযুদ্ধবিরতি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করেছে বলে ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।
ট্রাম্পের সাথে মুনিরের সাক্ষাত বিষয়ে আগেভাগে কিছু জানানো হয়নি। পাকিস্তান কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। ওয়াশিংটনে দেশটির দূতাবাস এ ব্যাপারে মুখ বন্ধ করে রেখেছিল। এই গোপনীয়তা সম্ভবত সংবেদনশীলতার কারণে।
ফরেন পলিসি থেকে অনুবাদ