অধিকৃত কাশ্মীরের নিরাপত্তায় সাবেক সেনাদের মোতায়েন করবে ভারত

অধিকৃত কাশ্মীরের নিরাপত্তায় সাবেক সেনাদের মোতায়েন করবে ভারত
ছবি: প্রতীকী

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে দেশটির সামরিক বাহিনীর সাবেক সদস্যদের মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় ৪০ হাজার সাবেক সেনাকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪৩৫ জনের লাইসেন্স করা ব্যক্তিগত অস্ত্র রয়েছে। সাবেক সেনাসদস্যদের মোতায়েন করার বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারও।

এদিকে, যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। রোববার (১৮ মে) ভারতের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি চলাকালে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের প্রধান অগ্রাধিকার হলো শান্তি। আর ভারত বলছে, দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে সাবেক সেনাদের মোতায়েন করা হবে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওই হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগ আনে ভারত। তবে তা বরাবরই নাকচ করে এসেছে ইসলামাবাদ। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে ৬ মে রাত থেকে পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু করে ভারত ও পাকিস্তান। চার দিন সংঘাতের পর ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে একমত হয় তারা।

এর পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হামলা বন্ধ রয়েছে। পরে আজ ভারতের সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানান, ১২ মে দুই দেশের সেনা অপারেশনের প্রধানের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল, তা চলবে। এর মেয়াদ শেষ হওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ নেই। গতকাল দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে নতুন করে আলাপ হয়নি বলেও জানান তিনি।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ নিয়ে সর্বশেষ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে দেশটি শান্তি চায় বলে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী। সংবাদমাধ্যম আরটি আরবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো সহিংস দেশ নই। আমরা একটি সচেতন ও দায়িত্বশীল দেশ। আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো শান্তি।’

পাকিস্তান শান্তি চায়—এমন বার্তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন দেশ সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, তাঁকে এ দায়িত্ব দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজের (পিএমএল–এন) অন্যতম প্রধান মিত্র পিপিপি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিলাওয়াল লিখেছেন, ‘আমার সঙ্গে আজ প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি অনুরোধ করেছেন, শান্তির পক্ষে পাকিস্তানের অবস্থা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে আমি যেন একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিই।’ আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, ওই প্রতিনিধিদলের কাজ হবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের অপপ্রচারগুলো তুলে ধরা।

এএফপি