সম্প্রতি বেইজিংয়ে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুনের সাথে সাক্ষাত করেছেন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) প্রধান মার্শাল জহির আহমেদ বাবর। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, আলোচনাকালে ডং জুন পাকিস্তান ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান পাবে বলে জনাব বাবরকে আশ্বস্ত করেছেন।
খবর সঠিক হলে, এটি চীন-পাকিস্তান সামরিক সহযোগিতায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসাবে বিবেচিত হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে, বাবরের সফরের উদ্দেশ্য ছিল ৪০টি জে-৩৫এ পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি চূড়ান্ত করা। এগুলোর দাম ১.৫ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং চীন আগামী দুই বছরের মধ্যে পাকিস্তানকে বিমানগুলো সরবরাহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চীন দ্রুত তার প্রতিরক্ষা শিল্পের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে এবং মহাকাশ উন্নয়নের দেশটির অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য।
পাকিস্তানের মিডিয়াগুলো বলছে যে, চীন ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করার সাথে সাথে সেগুলো পাকিস্তানও পাবে। চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুন বাবরকে জানিয়েছেন যে চীন পাকিস্তানি বিমানবাহিনীকে তার পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমান দিয়ে সজ্জিত করতে ইচ্ছুক।
চীনের ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেমন বা এর বৈশিষ্ট্য কী সে সম্পর্কে এখনো কোন ধরাণা পাওয়া যায়নি। তবে, কয়েক সপ্তাহ আগে চীন ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির দাবি করেছে।
পাকিস্তানি সূত্র বলছে, ষষ্ঠ প্রজন্মের দুটি প্রোটোটাইপ, একটি যুদ্ধবিমান এবং অন্যটি ফাইটার-বম্বার বিমান, ২০২৫ সালে প্রথম আকাশে ওড়ে। এটি একটি মাইলফলক যা পরবর্তী প্রজন্মের বিমান তৈরির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মতো বৈশ্বিক প্রতিযোগীদের ছাড়িয়ে যাওয়ার সক্ষমতা প্রদর্শন।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চীন ২০৩০ সালের মধ্যে নিজস্ব ষষ্ঠ প্রজন্মের বিমান তৈরি করতে সক্ষম হয়, তবে এটি তাৎপর্যপূর্ণ হবে। অন্যদিকে, ভারত এখনো পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির চেষ্টাতেও সফল হতে পারেনি।
ইন্ডিয়া.কম থেকে অনুবাদ