সী-ট্রায়াল শেষ করেছে পাকিস্তানের আরেকটি হাঙ্গর-ক্লাস সাবমেরিন

সী-ট্রায়াল শেষ করেছে পাকিস্তানের আরেকটি হাঙ্গর-ক্লাস সাবমেরিন

কাশ্মিরে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর থেকে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মনোযোগ মূলত দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে কেন্দ্রীভূত। এরই মধ্যে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অন্যান্য কৌশলগত ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত হচ্ছে। যার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি হল পাকিস্তান নৌবাহিনীর সাবমেরিন বহরের আধুনিকায়ন। দেশটির জন্য চীন আটটি সাবমেরিন নির্মাণ করছে। অতি সম্প্রতি যার একটি সী- ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে।

পাকিস্তানের পুরনো আগোস্টা-ক্লাস সাবমেরিন বহর পরিবর্তনের লক্ষ্যে চীনা নৌবাহিনীর টাইপ-০৩৯বি নকশার উপর ভিত্তি করে একটি নতুন শ্রেণীর সাবমেরিন নির্মাণ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের জন্য নির্মিত এই সাবমেরিন ‘হাঙ্গর-ক্লাস এ্যাটাক সাবমেরিন’ নামে পরিচিত।

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী এই শ্রেণীর আটটি সাবমেরিন যৌথভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এর চারটি উহান প্রদেশে অবস্থিত ‘উচাং শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড’ এবং বাকিগুলো পাকিস্তানের ‘করাচি শিপইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড’ নির্মাণ করছে।

চীনা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে দুটি সাবমেরিনের নির্মাণ শেষ করেছে। পাকিস্তানেও দুটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি উচাং-নির্মিত একটি সাবমেরিনের সী-ট্রায়াল চলার ছবি প্রকাশ করেছে। ছবিতে একে শুয়াংলিউ নৌ-ঘাঁটির কাছে সাগরে চলাচল করতে দেখা গেছে।

টাইপ-০৩৯বি ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হলেও হাঙ্গর-ক্লাস সাবমেরিনগুলো আরো আধুনিক ডিজেল-ইলেকট্রিক এ্যাটাক প্ল্যাটফর্ম। এগুলোকে মূলত রফতানি সংস্করণ। এর ডিসপ্লেসমেন্ট ক্ষমতা ২,৮০০ টন। এটি লম্বায় ৭৬ মিটার এবং এর বিমের দৈর্ঘ্য ৮ দশমিক ৪ মিটার। এই সাবমেরিনে রয়েছে এয়ার-ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রোপালশন (এআইপি) সিস্টেম। এতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি তৃতীয়পক্ষের কোন বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে না।

এই সাবমেরিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যটি অজানা সেটা হলো এর আর্মামেন্ট স্যুট। তবে, ধারণা করা হয় যে এতে বিভিন্ন ধরনের টর্পেডো, জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্থলভাগে হামলার উপযোগী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে। এতে বাবর-৩ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সাবমেরিন-সংস্করণ যুক্ত করা হতে পারে।

সাবমেরিন ছাড়াও চীন পাকিস্তানকে জে-৩৫এ স্টিলথ ফাইটার, কেজে-৫০০ এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং এন্ড কন্ট্রোল এয়ারক্রাফ্ট এবং এইচকিউ-১৯ ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করবে বলে জানা গেছে।