মাউন্ট এভারেস্টে নতুন বিপদ! এক মাসে উদ্ধার ১০টি গোখরা

মাউন্ট এভারেস্টে নতুন বিপদ! এক মাসে উদ্ধার ১০টি গোখরা

শৃঙ্গজয়ের পথে বিপদ ওত পেতে থাকে পদে পদে। তুষারঝড়, তুষার ধসের ঝুঁকি যেমন থাকে, তেমনই জলবায়ু পরিবর্তন এবং দূষণও মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে নয়া বিপদ হাজির। গত এক মাসে এভারেস্টের কাছাকাছি এলাকা থেকে ১০-১০টি গোখরা সাপ উদ্ধার হয়েছে। এগুলোকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ বলে গণ্য হয়।

সাধারণত জলাভূমিতে বা খাল-বিলের কাছাকাছি এলাকাতে এই ধরনের বিষধর সাপ পাওয়া যায়। ম্যানগ্রোভ অরণ্য, ধানের ক্ষেতেও খোঁজ মেলে। তাই মাউন্ট এভারেস্ট সংলগ্ন শীলল এলাকায় এত সাপ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে। মাউন্ট এভারেস্ট থেকে কাঠমান্ডুর দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। সেখানে গোখরার মতো বিষধর সাপের খোঁজ পাওয়ার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন, তাদের আশ্রয়স্থল বদলের সংযোগ দেখছেন পরিবেশবিদরা।

তারা বলছেন, এটি আকস্মিক কোনও ঘটনা নয়। ঠান্ডা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করেছে গোখরার মতো বিষধর সাপ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এমনটি ঘটছে। অন্যান্য এলাকায় তাপমাত্রা এত বেড়ে গিয়েছে যে সেখানে টিকতে পারছে না। আবার ঠান্ডা জায়গায়গুলিও আগের মতো ঠান্ডা থাকছে না। আর তাতেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে আসছে বিষধর সাপগুলি।

নেপালের পার্বত্য অঞ্চলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব চোখে পড়ার মতো। প্রতি বছর সেখানে তাপমাত্রা ০.০৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর নেপালের তরাই অঞ্চলে সাপের কামড়ে প্রায় ২,৭০০ মৃত্যু ঘটে। এদের বেশিরভাগ মহিলা ও শিশু।

কাঠমান্ডু পোস্ট