সারসংক্ষেপ

সারসংক্ষেপ

১. অংশীদারিত্বের মূলনীতি

* যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের নিরাপত্তা সহযোগিতা জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও নীতিমালার প্রতি পারস্পরিক অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

২. সমুদ্র নিরাপত্তা সহযোগিতা

* যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক-মিলিটারি ব্যুরো ভারত ও ভারত মহাসাগরীয় অংশীদারদের সঙ্গে সমুদ্র নিরাপত্তা জোরদার করতে কাজ করছে।

* ২০১৯ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও ভারত প্রতিরক্ষা বিভাগের Maritime Security Initiative (MSI) কর্মসূচির আওতায় আসে।

* এই উদ্যোগের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অংশীদার দেশগুলোর সামুদ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়।

* ২০১৮ সালে “Bay of Bengal Initiative” চালুর পর থেকে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপকে $১৪৫ মিলিয়নেরও বেশি Foreign Military Financing (FMF) প্রদান করা হয়েছে।

* এই সহায়তা বেসামরিক ও সামরিক সংস্থাগুলোর সামুদ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ, শনাক্ত ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদানের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে।

* যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে যাতে সক্ষমতা উন্নয়ন ও নিরাপত্তা সহায়তা কার্যক্রমগুলো কার্যকর ও পরিপূরক হয়।

৩. আন্তর্জাতিক সামরিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ (IMET)

* ভারত IMET (International Military Education and Training) কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।

* ২০০৩ সাল থেকে ভারত প্রতিবছর অন্তত $১ মিলিয়ন IMET অর্থায়ন পাচ্ছে।

* IMET-এর উদ্দেশ্য:

* সামরিক পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি করা

* যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি

* সশস্ত্র সংঘাতের আইন ও মানবাধিকার বিষয়ে শিক্ষা প্রদান

* যুক্তরাষ্ট্রের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কে গভীর ধারণা তৈরি করা

* অনেক ভারতীয় IMET স্নাতক পরবর্তীতে উচ্চপদে উন্নীত হন, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।

৪. যৌথ সামরিক মহড়া অনুশীলন

* ২০১৯ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত প্রথমবারের মতো “Tiger Triumph” নামের ত্রি-বাহিনী (স্থল, নৌ, ও বিমান) যৌথ মহড়া পরিচালনা করে।

* এই মহড়ায় দুর্যোগ মোকাবিলা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের অনুশীলন করা হয়।

* ভারত যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন Rim of the Pacific (RIMPAC) মহড়ায় অংশ নেয়।

* এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে Malabar ত্রিপাক্ষিক মহড়াতেও ভারত সক্রিয় অংশীদার।

* এসব মহড়া যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সামরিক সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা জোরদার করে।

৫. সামগ্রিক লক্ষ্য

* পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি

* আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সামুদ্রিক সক্ষমতা শক্তিশালী করা

* মানবিক সহায়তা, দুর্যোগ মোকাবিলা ও পেশাদার সামরিক দক্ষতা উন্নয়ন

* একটি মুক্ত, স্থিতিশীল ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলা

নেক্সাস ডিফেন্স এন্ড জাস্টিস-এর ফেসবুক পেজ থেকে