সাম্প্রতিক সংক্ষিপ্ত পাক-ভারত যুদ্ধে সাফল্য চীনের জে-১০ বিমানের কদর বিশ্বব্যাপী বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ইন্দোনেশিয়া এই জেটগুলো কেনার বিষয়টি বিবেচনা করছে। দেশটি চীনের কাছ থেকে এমন একটি প্রস্তাব পেয়েছে।
আগের দিন জাকার্তায় এক আলোচনায় দেশটির উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডনি এরমাওয়ান তাউফান্তো জে-১০ জেট ফাইটারের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান যে ইন্দোনেশিয়ার বিদ্যমান সিস্টেমের সাথে চীনা যুদ্ধবিমানগুলো একীভূত করা যেতে পারে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
ব্লুমবার্গ জানায়, ইন্দোনেশিয়ান বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা চীন সফরে গেলে বেইজিং জে-১০ বিক্রির অফার দেয়। তবে মূল্যায়নের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে এবং প্রযুক্তিগত মূল্যায়ন বা চীনের প্রস্তাব এগিয়ে নিতে জাকার্তা বেইজিংয়ে কোনও দল পাঠায়নি।
তাউফান্তো রয়টার্সকে বলেন, চীনের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে এবং তারা আমাদেরকে জে-১০ ছাড়াও জাহাজ, অস্ত্র, ফ্রিগেটসহ অনেক কিছু অফার করেছে।
জাকার্তা জে-১০ মূল্যায়নের পাশাপাশি সিস্টেমের সামঞ্জস্যতা এবং বিক্রয়োত্তর সহায়তার পাশাপাশি মূল্য পর্যালোচনা করছে বলে তাউফান্তো উল্লেখ করেন।
জাকর্তা অবশ্য ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের এক বছরেরও বেশি সময় আগ থেকে চীনা জেট কেনার কথা বিবেচনা করে আসছে।
তবে গত মাসে পাকিস্তানের জে-১০ একাধিক ভারতীয় জেট ভূপাতিত করার পর এই আলোচনা গতি পায়।
চীনের রপ্তানিযোগ্য জে-১০সিই ফাইটার সম্প্রতি আকাশ যুদ্ধে প্রতিপক্ষের একাধিক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। প্রকৃত যুদ্ধে এটাই চীনা ফাইটারের প্রথম সাফল্য।
ইন্দোনেশিয়ার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৫ইএক্স এবং ফ্রান্সের রাফাল জেট বিক্রির প্রস্তাব রয়েছে। তবে দেশটি প্লাটফর্মগুলোর মূল্যও বিবেচনা করছে।
তাউফান্তো জে-১০-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, যদি আমরা দেখি যে জেটটি ভালো পারফর্ম করে, আমাদের মানদণ্ড পূরণ করে এবং দামেও কম, তাহলে কেন নয়?
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া কাউকে প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তাই চীনসহ যে কোনও দেশ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করতে পারে।
মে মাসের শেষের দিকে মালয়েশিয়ায় লঙ্কাভিতে অনুষ্ঠিত ১৭তম ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইমস এন্ড এরোস্পেস এক্সিবিশনে (লিমা ২০২৫) চীনের বেশি কিছু যুদ্ধ বিমান স্থান পায়।