ভারতের নিষেধাজ্ঞা ‘উদযাপন’!

ভারতের নিষেধাজ্ঞা ‘উদযাপন’!

এতোগুলা মাস কেটে গেল অথচ ভারত বাংলাদেশের জনগনের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছে। এটা তাদেরই সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত এবং এর ফলে নিশ্চয়ই তারা ভাবছে যে অকৃতজ্ঞ পূর্ব বঙীয় গদাধরদের যথার্থই খাচায় অবরুদ্ধ করে রেখেছে। অনেকে ভাবে “আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম”। ঊত্তরা আর ঊত্তর পাড়ার অনেক বাসিন্দারা আমাদের পুরানো ঢাকার নিউমার্কেটে বাজার না করে সোজা সকালে প্লেনে চড়ে বিকালের ফ্লাইটে ফেরত আসতো কোলকাতার নিউ মার্কেটে বাজার সেড়ে। যাক ভুলে যান সেই সব কাহিনী।

কলকাতার ব্যবসায়ীরা নিশ্চয়ই দেশপ্রেমিক মোদীর অসাধারণ এই “ধিক্কার সংস্কৃতিকে” বন্দনা করছে। আমার সমস্যা অন্য জায়গায়, সেটা একটু পড়ে বলবো। বলছিলাম কি আমাদের ইঊনূস সাহেব যে তার হৃদয় নিংরানো ভালবাসা দিয়ে পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে একাধিক বার আলিঙন করলো, তার পরিণতিতে কি জনগনের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব হতে পারে না? আশংকা হল ভারতের সর্বাধিক পর্যটক ও বিদেশী মূদ্রা অর্জনকারী দেশের পক্খে বিকল্প পর্যটক গন্তব্য হতে পারতো প্র: ইউনূসের কাঙ্খিত যে দেশটি, হেথায় গমনের গণআকাঙ্খা কি কারনে এখনো পদদলিত?এতোদিনেও এই দেশের কোন বিমান সংস্থা এগিয়ে আসতে সাহস বা সদিছ্ছা লাভ করলো না কেন? সরাসরি বিমান চালনার পদক্ষেপ নিলে এখনকার ঘুড়ন্ত পথে যাবার ও এই খরচের চেয়ে অন্তত অর্ধেক ব্যয় ও সময় বাচিয়ে আমাদের এদেশের পর্যটকরা পাকিস্তান ভ্রমনের স্বাদ পেতো। আমাদের মানুষদের এতোটুকু আঞ্চলিক পর্যটন অনূভুতি  কি ভারতীয় বাধাদানে গহীন বনে হারিয়ে যাবে?

নতূন প্রজন্ম এখোনো পাচ হাজার বছর পুরোনো হারাপ্পা বা মোহেনজেদারো সভ্যতার নিদর্শন দেখা থেকে অনেক দূরে। তারা ব্যান্কক, সিঙাপুর বাদ দিয়ে দুই মুসলিম অধ্যূষিত প্রতিবেশীর পারস্পরিক সম্পর্ক পূন:আবিস্কার ঘটাতে এতো দীর্ঘকাল এই নি:শব্দতায় পতিত হতে কেন বাধ্য হবে?

প্রফেসার ইউনূস কি বিষয়টির কোন কূটনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা দেখছেন না?

ফেসবুক লিংক:

https://www.facebook.com/share/p/15XggfqS1W/