ভারতকে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে পাকিস্তান। তাই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পরমাণু অস্ত্রসহ সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। পিটিআই
রোববার (২৫ মে) প্রকাশিত মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ) ‘অ্যানুয়াল থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সম্প্রতি ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা ও এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার পর পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। যুদ্ধবিরতি চললেও একে অপরের বিরুদ্ধে হুমকি-পাল্টা হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, পরমাণু শক্তিধর ভারতকে পাকিস্তান তার অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে এবং এই হুমকি মোকাবিলায় দেশটি ‘তার সামরিক শক্তি আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
এতে আরো বলা হয়, ‘পাকিস্তান তার পরমাণু অস্ত্রাগার আধুনিকীকরণ করছে। সেই সঙ্গে দেশটি তার পরমাণু উপকরণ ও পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখছে। পাশাপাশি পাকিস্তান প্রায় নিশ্চিতভাবেই বিদেশি সরবরাহকারী ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে ‘পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করছে।’
আগামী বছরগুলোতে পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে আরো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটবে। পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র আধুনিকীকরণ তাদের শীর্ষ অগ্রাধিকারের বিষয় থাকবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়েও বক্তব্য এসেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান মূলত চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা নিয়ে থাকে এবং দুই দেশের বাহিনী প্রতি বছর একাধিক যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়। তবে চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট চীনা শ্রমিকদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলা দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কে কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে।
সেনাদের আরো বেশি দূরত্বে মোতায়েন করার জন্য চীন অবকাঠামো তৈরি করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।