সেনাবাহিনীর পর বাংলাদেশ নৌবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আরকিউ-২১এ ব্ল্যাকজ্যাক ইউএভি (আনম্যান্ড এয়ার ভেহিকেল) সিস্টেম বা ড্রোনের নতুন অপারেটর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। জাহাজ থেকে এই ড্রোন দিয়ে নজরদারি অভিযান পরিচালনা করতে পারবে নৌবাহিনী।
সম্প্রতি বাংলাদেশ নৌবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে বোয়িং-ইনসিটু’র তৈরি এই প্ল্যাটফর্মের চালান গ্রহণ করেছে বলে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই সংযুক্তি বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণ কর্মসূচি এবং ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতার অংশ। বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন মিত্র দেশে এসব ড্রোন সরবরাহ করে।
ব্ল্যাকজ্যাক উড়ানোর জন্য কোন রানওয়ের দরকার নেই। জাহাজ থেকে এগুলো ওড়ানো যায়। এসব ড্রোন দিয়ে কৌশলগত গোয়েন্দাবৃত্তি, নজরদারি এবং রেকি (আএসআর) করা যায়। স্থল ও সমুদ্র যেকোন স্থানে অভিযান পরিচালনার জন্য এসব ড্রোন বিশেষ তৈরি।
বোয়িংয়ের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ইনসিটু মূলত মার্কিন নৌবাহিনী এবং মেরিন কোরের ব্যবহারের জন্য ব্ল্যাকজ্যাক ড্রোন তৈরি করে। এছাড়া সীমিত সংখ্যক অংশীদার দেশেগুলোতে রপ্তানি করা হয়।
প্রতিটি আরকিউ-২১এ সিস্টেমে পাঁচটি ড্রোন এবং দুটি গ্রাউন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম রয়েছে। ড্রোনগুলোকে স্থল বা জাহাজ থেকে ভাগে ‘রেল সিস্টেম’ দিয়ে উড্ডয়ন এবং ‘স্কাইহুক’ দিয়ে অবতরণ করানো হয়। এটি গাড়ি দিয়ে টেনে নেয়া যায়।
এর ডানার বিস্তার ১৬ ফুট (৪.৯ মিটার) এবং এটি ৩৯ পাউন্ড (১৮ কেজি) পেলোড বহন করতে পারে। এর ডে/নাইট ক্যামেরা ৮,০০০ ফুট (২,৪০০ মিটার) উচ্চতা থেকে এনআইআইআরএস স্কেল ৭ রেজোলিউশন রেটিংয়ে ছবি তুলতে পারে।
সমুদ্রে নজরদারি করার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ব্ল্যাকজ্যাক ড্রোনের ১২টি ইউনিট সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।