বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের পথে তুরস্ক

বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের পথে তুরস্ক
তুর্কি বিমানবাহী রণতরী ‘মুগেম’র মডেল। ছবি: সংগৃহীত

বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে তুরস্ক। সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে দ্বাদশ নেভাল সিস্টেমস সেমিনারে তুর্কি নৌবাহিনীর ডিজাইন প্রজেক্ট অফিসের (ডিপিও) পরিচালক ক্যাপ্টেন হাকান উসার এই পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি একটি এফটি-২০০০ শ্রেণীর এয়ার-ডিফেন্স ডেস্ট্রয়ারের ডিজাইন তুলে ধরেন।

টার্কিশ ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি এজেন্সি ২০২৩ সালে বিমানবাহী রণতরী ডিজাইনের কাজ শুরু করে। তুর্কি ভাষায় রণতরীটির নাম ‘মুগেম’।

প্রায় ৬০,০০০ টন ওজনের মুগেম-এর দৈর্ঘ্য হবে ২৮৫ মিটার। এর ফ্লাইট ডেকে অন্তত ৫০টি বিমান, হেলিকপ্টার বা ড্রোনের জন্য শর্ট টেক-অফ এন্ড এরেস্টেড  ল্যান্ডিং-এর ব্যবস্থা থাকবে।

নিজস্ব বিমানবাহী রণতরীতে মোতায়েনের জন্য নিজস্ব তৈরি বিমান সম্পদকে গুরুত্ব দেবে তুরস্ক। বেকার-এর তৈরি কিজিলেলমা এবং টিবি৩ ড্রোন; টার্কি অ্যারোস্পেসের তৈরি হুরজেট ও আনকা-৩ প্ল্যাটফর্ম (বিমান) এই ক্যারিয়ারে মোতায়েন করা হবে।

মুগেমের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে গিয়ে ক্যাপ্টেন হাকান উসার বলেন, প্রচলিত ডিজাইন অনুসরণ করে এই রণতরী তৈরি করা হচ্ছে না। এতে প্রথমে হাল-এর ডিজাইন না করে বরং ফ্লাইট ডেক-এর জিওম্যাটরি কেমন হবে সেটা দিয়ে ডিজাইন শুরু করা হয়। এখানে রানওয়ের সংখ্যা ও দৈর্ঘ্য, সেইসাথে ফ্লাইট ডেকের সুপারস্ট্রাকচার, যা সরাসরি জাহাজের নকশাকে প্রভাবিত করে – সেসব বিষয় বিবেচনা করা হয়। ক্যারিয়ারটিকে মৌলিকভাবে একটি ভাসমান বিমানঘাঁটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে।

ক্যারিয়ার নির্মাণের জন্য ড্রোন নির্মাতা বেকার এবং টার্কিশ এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপক সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে। এতে তিনটি স্কি-জাম্প টেক-অফ পাথ এবং একটি কোণযুক্ত ল্যান্ডিং ডেক থাকবে। নির্বাচিত সব ধরনের বিমান এই রানওয়ে থেকে নিরাপদে পরিচালনা করা যাবে বলে সিমুলেশনের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

রাজনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ঝুঁকি বিবেচনা করে এই ক্যারিয়ারে ‘ক্যাটাপল্ট সিস্টেম’ রাখা হয়নি। পরিবর্তে, একটি ১২ ডিগ্রি স্কি-জাম্প র‍্যাম্প রাখা হয়েছে। এরেস্টেড ল্যান্ডিং সহজ করার জন্য তুরস্ক প্রথমবারের মতো নিজস্ব এরেস্টেড গিয়ার সিস্টেম তৈরি করছে।