পাকিস্তান-ইরান সীমান্ত ও আকাশপথ অনির্দিষ্টকাল বন্ধ

পাকিস্তান-ইরান সীমান্ত ও আকাশপথ অনির্দিষ্টকাল বন্ধ

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাতের কারণে পাকিস্তান ইরানের সাথে তার সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। সংঘাতে জড়িতে দেশগুলোর মধ্যে ক্ষেপনাস্ত্র বিনিময় চলতে থাকায় এই অঞ্চলের আকাশপথও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এএফপি

পাকিস্তানের চাঘি জেলার একটি ক্রসিংয়ের কর্মকর্তা আতা উল মুনিম সোমবার বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইরানে প্রবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

বেলুচিস্তান প্রদেশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাদির বখশ পিরকানি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন যে ৯০০ কিলোমিটার (৫৬০ মাইল) সীমান্তের সব ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের আক্রমণ মোকাবেলায় ইরানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে “যাত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য” ইরানের আকাশসীমা “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত” বন্ধ থাকবে।

ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত” বন্ধ রাখা হয়েছে। ইসরায়েলি পতাকাবাহী এল আল এয়ারলাইন্স জানিয়েছে যে তারা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত করেছে এবং ২৩ জুন পর্যন্ত অনেক ইউরোপীয় শহরগামী ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে ।

তবে, ইসরায়েল ও জর্ডানের মধ্যে তিনটি স্থল সীমান্ত ক্রসিং – জর্ডান নদী, কিং হুসেন (অ্যালেনবি) সেতু এবং ইতজাক রাবিন ক্রসিং খোলা রয়েছে।

ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তার নাগরিকদের জর্ডান এবং মিশরে না যেতে পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে গত শুক্রবার পাকিস্তান ঘোষণা দেয়, ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে তারা ‘ইরান সরকার ও জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ’ করছে।

আজ সোমবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সতর্ক করে বলেন, ‘ইসরাইলের পরমাণু সক্ষমতা নিয়ে বিশ্বের শঙ্কিত হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ইসরাইলের মধ্যে ‘আন্তর্জাতিক পরমাণু শৃঙ্খলার কোনো বোধ নেই।’

ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যের একটি অঘোষিত পরমাণু শক্তিধর দেশ।