মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর উপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরও জান্তা সরকারের সামরিক ড্রোনগুলোর জন্য উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। তারা জান্তার ড্রোনকে প্রতিরোধ বাহিনীর হাত থেকে বাঁচাতে “অ্যান্টি-জ্যামিং” প্রযুক্তি সরবরাহ করছে বলে প্রমানাদি প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা – কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চ (সিএআর)।
২০২৩ সালের অক্টোবরে উত্তর শান রাজ্যে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স এবং প্রতিরোধ বাহিনী পরিচালিত সরকার-বিরোধী অভিযান “অপারেশন ১০২৭”-এর সময় ড্রোন হামলায় সরকারি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরপর থেকে জান্তা তার বাহিনীকে অত্যাধুনিক ড্রোন দিয়ে সজ্জিত করে। এগুলো এখন প্রতিরোধ বাহিনী এবং বেসামরিক জনগণের উপর বোমা হামলার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সিএআর সম্প্রতি জানিয়েছে যে পূর্ব মিয়ানমারের কারেনি (কায়া) রাজ্যে তাদের তদন্ত দল ২০২৪ সালে ভূপাতিত করা সরকারি ড্রোন থেকে উদ্ধার করা দুটি ইইউ-নির্মিত উন্নত নেভিগেশন মডিউল শনাক্ত করেছে।
সিএআর জানায়, মডিউলগুলো হল গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম (জিএনএসএ) রিসিভার, যা প্রতিপক্ষের হামলা থেকে ড্রোনগুলোকে রক্ষা করে।
এসব ডিভাইস প্রতিপক্ষ ড্রোনের জ্যামিং এবং সিগন্যাল স্পুফিংয়ের মতো ইলেকট্রনিক কাউন্টারমেজার্স-এর বিরুদ্ধে নিজস্ব ড্রোনের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে। প্রতিপক্ষের ড্রোন উড্ডয়নে বাধা দেয়ার জন্য মডিউলগুলো ডিজাইন করা হয়েছে।
চীনের একটি কোম্পানির মাধ্যমে এসব মডিউল মিয়ানমার সরকারের হাতে পৌছে।
দ্য ইরাবতী