পশ্চিমবঙ্গ জয়েও বিজেপির হাতিয়ার মুসলিমবিদ্বেষ

পশ্চিমবঙ্গ জয়েও বিজেপির হাতিয়ার মুসলিমবিদ্বেষ
অমিত শাহ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি পশ্চিমবঙ্গেও নির্বাচনে জয়ের জন্য মুসলিমবিদ্বেষী কার্ড খেলছে। আগামী বছর এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সবকিছু বদলালেও বিজেপির সেই পুরোনো এই সংখ্যালঘু কার্ড ব্যবহার করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রোববার (১ জুন) দুপুরে কলকাতা নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামের জনসভায় তিনি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে তুলাধুনা করেন। বলেন, মুসলিম তুষ্টিকরণের জন্যই অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করেছেন মমতা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে হামলা ঘিরে বিজেপির কর্ণধার ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একই কাজ করেছিলেন। পেহেলগাঁওয়ে না গিয়ে হামলার একদিন পর (২৪ এপ্রিল) বিহারে নির্বাচনি প্রচারে যান তিনি। সেখান থেকেই পাকিস্তানকে উদ্দেশ করে পালটা প্রতিশোধের প্রথম হুংকার ছাড়েন।

চলতি বছরের নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। গত সপ্তাহে আলিদুয়ারে গিয়েও অপারেশন সিঁদুরের ধুয়া তুলে হিন্দুত্ববাদ ছড়িয়ে যান মোদি। সেই একই অস্ত্র এদিন নতুন করে শান দিয়ে গেলেন অমিত।

তিনি বললেন, হিন্দুসমাজের সঙ্গে প্রতারণা করছে মমতা সরকার। পুরো বাংলা ওয়াকফ আইনের পক্ষে। একমাত্র মমতা ওয়াকফের বিরোধিতা করছেন।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সদ্য পরিচালিত ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমি বাংলার মাতৃশক্তির কাছে অনুরোধ করছি, আগামী নির্বাচনে অপারেশন সিঁদুরের ওপর প্রশ্ন তোলা মমতাজিকে সিঁদুরের দাম বুঝিয়ে দিন। মা-বোনেরা বুঝিয়ে দিন, সিঁদুরের অপমান করার অর্থ কী! আমি বলে যাচ্ছি, অপারেশন সিঁদুর শেষ হয়নি।’

মুর্শিদাবাদ জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতের প্রসঙ্গে বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল স্টেট স্পন্সরড। এ দাঙ্গার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রীও।’