পরমাণু ইস্যু: ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনায় বসছে ইরান

পরমাণু ইস্যু: ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনায় বসছে ইরান
প্রতীকী ছবি

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তিন ইউরোপীয় শক্তির সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ইরান। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জেনেভায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা তেহরানের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করার কয়েকদিন পর এই বৈঠকের খবরটি এলো।

জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োডোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার জেনেভায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও আমেরিকা এই আলোচনার প্রস্তাব এনেছে।

জানুয়ারিতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেই পারমাণবিক অচলাবস্থার সমাধান খুঁজছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সরকার।

শুক্রবারের বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইরানের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘তেহরান সব সময় মনে করে কূটনীতির মাধ্যমেই পারমাণবিক সমস্যার সমাধান করা উচিত। ইরান কখনওই আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসেনি।’

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমায়েল বাঘাই পরে বলেছিলেন, ইরান, ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনায় অংশ নেবেন। এ সময় আঞ্চলিক সমস্যাগুলোর পাশাপাশি পারমাণবিক ইস্যুতেও কথা বলবেন তারা।

তবে আলোচনা কোথায় হবে তা জানাননি বাঘাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুইস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র কিয়োডোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা দেশগুলোকে প্রশ্ন করতে বলেন।

বাঘাই বলেছেন, ‘ফিলিস্তিন, লেবানন ও পরমাণুসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ইস্যুতে আলোচনা ও বিষয়ের ওপর মতবিনিময় হবে।’

২০১৮ সালে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন ছয়টি প্রধান শক্তির সঙ্গে ইরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় এবং ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত তেহরানকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ সহ চুক্তির পারমাণবিক সীমা লঙ্ঘনে প্ররোচিত করে।

চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ও তেহরানের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমাদের একটি চুক্তি করতে হবে। কেননা, এর পরিণতি অসম্ভব। আমাদের একটি চুক্তি করতে হবে।’

 

এএফপি