নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ

নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ
ছবি: প্রতীকী

বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বাসস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ দ্য মিশন মেগান বোল্ডিনের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ইস্যু, সন্ত্রাসবাদ দমন, মামলার প্রসিকিউশন, তরুণীদের অনলাইনে যৌন হয়রানি প্রতিরোধসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ মিত্র। দেশটি শুরু থেকেই বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ দমন ও নিরাপত্তা খাতে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হয়ে কাজ করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সহযোগিতায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি (কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) ইউনিটকে আধুনিক ও সক্ষম করে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। সেজন্য উপদেষ্টা ডেপুটি চিফ অফ দ্য মিশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এ খাতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন।

বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে ডেপুটি চিফ অফ দ্য মিশন বলেন, প্রতিটি দেশই কমবেশি সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি হামলার ঝুঁকিতে থাকে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। যদিও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক রাজনৈতিক নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে জঙ্গিবাদ বলে অভিহিত করা হয়েছিল। তারপরও বাংলাদেশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।

জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো জঙ্গিবাদ নেই।

তিনি বলেন, শুধু সন্ত্রাসবাদ নয়, যেকোনো ধরনের অপরাধ মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং তাদেরকে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকার বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এরিয়ার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিয়মিত নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি সেখানে কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।