তুরস্ক থেকে উপহার পাওয়া দোগান-শ্রেণীর একটি ফাস্ট-অ্যাটাক শিপ কমিশন করেছে মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী (এমএনডিএফ)। জাহাজটি ১৫ আগস্ট কমিশন করা হয় বলে তুর্কী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে জানানো হয়।
তুর্কী কোস্ট গার্ড এটি ব্যবহার করেছে। তখন এর তুর্কী নাম ছিল ‘টিসিজি ভলকান’। জাহাজটির নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘ধরুমাবন্ত’।
মালদ্বীপকে হস্তারের জন্য ইস্তাম্বুল নৌ শিপইয়ার্ডে কয়েক মাস ধরে এর রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজ চলে।
জাহাজটি পরিচালনার জন্য মালদ্বীপ প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মীরা এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত তুরস্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
জাহাজটি ১ জুলাই তুরস্ক থেকে যাত্রা করে এবং ৭ আগস্ট মালে পৌছায়। ১০ আগস্ট মালে বন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ভলকান’ থেকে তুর্কি পতাকা নামানো হয়।
কমিশনিং অনুষ্ঠানে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু জাহাজটির নামফলক উন্মোচন করেন এবং নৌ কমিশনিং পেনান্টের পাশাপাশি মালদ্বীপের পতাকা উত্তোলন পর্যবেক্ষণ করেন।
মুইজ্জু এই উপহারের জন্য তুরস্কের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় তিনি জোর দিয়ে বলেন যে এই জাহাজ মালদ্বীপের সমুদ্র অঞ্চল রক্ষার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং ভারত মহাসাগরে আঞ্চলিক নিরাপত্তায় অবদান রাখে।
ধরুমাবন্ত জাহাজে রয়েছে একটি অটো-মেলারা ৭৬ মিমি/৬২ কমপ্যাক্ট গান এবং একটি টুইন-ব্যারেল ওরলিকন ৩৫ মিমি/৯০ গান। এটি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রও ছুঁড়তে পারে। তবে, ক্ষেপনাস্ত্রের লঞ্চারগুলো অনুদানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
জাহাজটি পুরোপুরি অপারেশনাল করতে তুর্কি নৌবাহিনীর একটি কারিগরি দল মালদ্বীপ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সহায়তা করবে। তারা মালদ্বীপের ক্রুদের জন্য দুই সপ্তাহের একটি অনবোর্ড প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও পরিচালনা করবে।
জেনিস ডিফেন্স