দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে আগস্টের প্রভাব

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে আগস্টের প্রভাব

পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস ও রাজনীতিতে আগস্ট কীভাবে প্রভাব ফেলেছে ‘হিমাল সাউথ এশিয়ান ম্যাগাজিন’ সম্পাদকের স্বল্পভাষ্যে মূল্যায়ন (এআই-এর বাংলা অনুবাদ):

“আজ ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস, আর আগামীকাল ভারতের স্বাধীনতা দিবস। প্রতি আগস্টে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য অনেক কিছু শোক করার থাকে – ১৯৪৭ সালের আগস্টে ব্রিটিশরা ভারত ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে এল ভয়াবহ বিভাজনের ট্র্যাজেডি – কিন্তু ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান এখনও স্মরণ ও উদযাপনের মতো একটি মুহূর্ত। আর আগস্টের এই বার্ষিকী শুধু ভারত ও পাকিস্তানেই নয়, অন্য দেশগুলোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশও ১৯৪৭ সালের আগস্টে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছিল – যদিও এরপর অপেক্ষা করছিল পাকিস্তানের শাসন থেকে স্বাধীনতার দীর্ঘ ও তিক্ত সংগ্রাম। নেপালের জন্য, যদিও তা আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো উপনিবেশ ছিল না, তবু উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশ প্রস্থান ছিল গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার লড়াইয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ভুটান ১৯৪৯ সালের আগস্টে ব্রিটিশ প্রটেক্টোরেট মর্যাদার অবসান দেখেছিল। আফগানিস্তান ১৯ আগস্ট তার স্বাধীনতা দিবস পালন করে, ১৯১৯ সালের রাওয়ালপিন্ডি চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির স্মরণে। (আগস্টই আবার ২০২১ সালে আমেরিকার আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের বার্ষিকীও বটে, যদিও তালেবান পুনরাগমনের কারণে অনেক আফগানের কাছে এই ঘটনাটি উদযাপনের মতো নয়।)

তাহলে আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা কেমন চলছে? এ নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে, আর এর অনেকটাই মোটেও সান্ত্বনাদায়ক নয়। একটি বিষয় নিশ্চিতভাবে বলা যায় – দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও সংবাদমাধ্যমের অবস্থা ভালো নয়; সর্বত্রই তা পরাধীন, অগণতান্ত্রিক এবং মুক্ত নয়।

সমস্যাগুলো আপনি ইতিমধ্যেই জানেন: কর্পোরেট দখল, সরকারের ওপর নির্ভরতা, ইন্টারনেট যুগে প্রচলিত ব্যবসায়িক মডেলের পতন। আর আমি নিশ্চিত, আপনিও – আমার মতোই – এ নিয়ে অনেক অভিযোগ করেন।”

ফেসবুক লিংক: https://www.facebook.com/share/p/18MPC72xLE/