থাই সীমান্তে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর আরেকটি ঘাঁটির পতন

থাই সীমান্তে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর আরেকটি ঘাঁটির পতন
শুক্রবার কারেন রাজ্যের কাওকারেক টাউনশিপে জান্তার ব্লেডো ঘাঁটি দখল করার পর জব্দ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ। ছবি: ইরাবতী

থাই সীমান্তের কাছে কারেন রাজ্যের কাওকারেক টাউনশিপে মিয়ানমার সরকারের আরেকটি ঘাঁটির পতন ঘটেছে। গত শুক্রবার (২৩ মে) প্রতিরোধ বাহিনীর ঘাঁটিটি দখল করে বলে সংবাদ মাধ্যম ইরাবতী জানিয়েছে।

কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) এবং মিয়ানমারে প্রাচীনতম জাতিগত বিপ্লবী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)-এর সশস্ত্র শাখা কারেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) এই আক্রমনে নেতৃত্ব দেয়। তাদের সঙ্গে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) সহ আরোক কয়েকটি জান্তা-বিরোধী গ্রুপ ব্লেডো সামরিক ঘাঁটিতে অভিযান চালায়।

শাসক বাহিনী বিমান শক্তি ব্যবহার করেও ঘাঁটিটি রক্ষার ব্যর্থ হয়।

প্রতিরোধ বাহিনী ঘাঁটি থেকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করে। এ সময় প্রায় ৩০ জন সরকারি সেনা আত্মসমর্পণ করে। অফিসারসহ আরও প্রায় ১৫ জন মোই নদী পার হয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করে।

প্রতিরোধ বাহিনী গণমাধ্যমকে জানিয়েছে যে শাসক বাহিনী তাদের ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণ হলো তারা অবিরাম ড্রোন হামলা ঠেকাতে পারছিল না।

কারেন বাহিনীর ড্রোন ইউনিট  জানায়, তারা ঘাঁটিতে হামলার জন্য ড্রোনের পাশাপাশি তারা ১২০ মিমি মর্টার ব্যবহার করে।

এর আগে কেএনএলএ এবং তার মিত্ররা হপা-আন জেলার উপ-শহর পাইংকিয়নে জান্তার মাও ফো কে ঘাঁটি দখল করে।