পাকিস্তান ১০০টি চেইসেরি ফার্স্ট উইন মাইন-রেজিস্ট্যান্ট অ্যাম্বুশ প্রোটেক্টেড (এমআরএপি) ভেহিক্যাল কিনতে থাইল্যান্ডের সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
চুক্তির আওতায় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা শিল্প তক্ষশিলাকে প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে প্রকল্প অংশীদার থাই প্রতিরক্ষা শিল্প । পাকিস্তানে আংশিকভাবে ৪×৪ সিস্টেম তৈরি করা হবে।
পাকিস্তানি বার্তা সংস্থা কুওয়া জানায়, এই বছরের শেষের দিকে অথবা এই নভেম্বরে করাচিতে পাকিস্তানি ট্রেড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির আন্তর্জাতিক মিলিটারি কনভেনশনে এ ব্যাপারে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি সই হতে পারে।
পাথুম থানি-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান চেইসেরি ২০১০ সালে প্রথম রয়্যাল থাই আর্মির জন্য এসব সাঁজোয়া যান ডিজাইন করে। ২০১২ সালে থাই সরকার এসব প্ল্যাটফর্মের প্রথম ব্যাচের অর্ডার দেয়।
থাই সেনাবাহিনী ছাড়াও সিস্টেমটি বর্তমানে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ভুটান রাজ্যের অধীনে পূর্ব হিমালয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ব্যবহার করছে।
ফিলিপাইনও এ ধরনের প্রায় ৯০০ সিস্টেম কিনবে বলে থাই ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রির সিইও এবং চেইসারির ভাইস প্রেসিডেন্ট নোপারাত কুলহিরান জানিয়েছেন।
ফার্স্ট উইনের বৈশিষ্ট্য
বিস্ফোরক থেকে সৈনিকদের সুরক্ষার জন্য ফার্স্ট উইন এমআরএপি-তে একটি অল-ওয়েল্ডেড, ভি-হল চেসিস রয়েছে।
মডেল অনুযায়ী প্ল্যাটফর্মটি ৬.৫ মিটার (২১.৩ ফুট) পর্যন্ত দীর্ঘ এবং ১২,৫০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ওজনের হতে পার।
ফার্স্ট উইন ন্যাটো-স্ট্যান্ডার্ড আর্মার দ্বারা তৈরি, যা গ্রেনেড থেকে শুরু করে ১৫৫ মিলিমিটার কামানের গোলা পর্যন্ত বিস্ফোরণ সহ্য করতে পারে এবং এতে ভারী মেশিনগানের পাশাপাশি একটি স্বয়ংক্রিয় গ্রেনেড লঞ্চার রয়েছে।
৩৩০ হর্স পাওয়ারের কামিন্স ডিজেল ইঞ্জিন চালিত এই প্লাটফর্ম ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। এটি ১০ জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করতে পারে।
দ্য ডিফেন্স পোস্ট