ত্রিপক্ষীয় কুনমিং বৈঠকের ভিত্তি হলো পারস্পরিক আস্থা: চীনা দূত

ত্রিপক্ষীয় কুনমিং বৈঠকের ভিত্তি হলো পারস্পরিক আস্থা: চীনা দূত
১৯ জুন ২০২৫, চীনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় প্রক্রিয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (বাম থেকে ডানে)বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী, চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত সচিব রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত

কুনমিংয়ে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈঠক অন্য কোনো দেশকে টার্গেট করে হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠকে তিন দেশ ১২টি ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছে। এসব ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, শিল্প, পরিবেশ, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সংস্কৃতি সহযোগিতা ইত্যাদি। চীনা দূত বলেন, তিন দেশের সহযোগিতার ভিত্তি হলো পারস্পরিক আস্থা।

বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতাকে ভারতের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন। যদিও তিনি স্বীকার করেন – ‌‘চীন পাকিস্তান ও বাংলাদেশের স্বার্থের মিল রয়েছে।’

চায়না-বাংলাদেশ শিল্প ও সরবরাহ চেইন সহযোগিতা- শীর্ষক এক সেমিনারে আয়োজন করে চায়নিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ -সিএইবি । এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত।

সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইয়াও ওয়েন বলেন, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ক্ষেত্রে চীন ও বাংলাদেশের সমান স্বার্থ রক্ষার অধিকার রয়েছে। সে লক্ষ্যেই কুনমিংয়ে যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে, সেখানে ১২ টি ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে তিন দেশ। এই বৈঠক অন্য কোনো দেশকে টার্গেট করে হয়নি বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের উত্তরে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির পরিপ্রেক্ষিতে চীন সুরক্ষা পেতে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকেও সুরক্ষার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে। আশা করি, বাংলাদেশ এটা কাটিয়ে উঠতে পারবে।

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা জামায়াতে ইসলামী ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। সে লক্ষ্যেই এই বৈঠক হয়েছে। তবে সেখানে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি, কেননা নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের বিষয়।