কৃষকদের জীবিকা উন্নীত করা, সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার জোরদারকরণে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) উন্নয়ন তহবিলের (এসডিএফ) সামাজিক উইন্ডোর অধীনে তিনটি বড় প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছে।
৪০তম সার্ক চার্টার দিবস উপলক্ষে গত ৯ ডিসেম্বর ভুটানের রাজধানী থিম্ফুতে এসডিএফ সদর দফতরে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করা হয়।
পানিতে চাষের উন্নয়ন, প্রাথমিক শৈশব শিক্ষা, এবং বায়োগ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্যে এই আঞ্চলিক প্রকল্পগুলো ৯.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয় হবে। প্রকল্পগুলো সার্ক অঞ্চল জুড়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এসডিএফ’র মিশনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
“অ্যাকুয়াকালচার উন্নয়নের মাধ্যমে সার্ক অঞ্চলের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জীবিকা বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ জনসংখ্যার পুষ্টি নিরাপত্তা” শীর্ষক প্রথম প্রকল্পটি দেশে মৎস চাষের বিস্তার এবং পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদার করতে চায়।
এই প্রকল্প সার্কের অন্যান্য পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্র: বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কায় বাস্তবায়ন করা হবে।
দ্বিতীয় প্রকল্পটি হলো “গুণগত অন্তর্ভুক্তিমূলক শৈশব উন্নয়ন এবং মৌলিক শিক্ষার জন্য অংশীদারিত্ব”। এর লক্ষ্য হলো, অন্তর্ভুক্তিমূলক, উচ্চ-মানের শিক্ষার পরিবেশে ভুটান ও নেপালে প্রতিবন্ধী শিশুসহ শিশুদের প্রবেশ বাড়ানো।
তৃতীয় প্রকল্প হলো, “গৃহস্থালির বর্জ্য থেকে বাণিজ্যিক বায়োগ্যাস উৎপাদন”। এর লক্ষ্য ভুটানের শহর এলাকায় রান্নার জন্য ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা মোকাবেলায় তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের বদলে বায়োগ্যাসে শক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি।
২০১০ সালে থিম্পুতে এসডিএফ সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ৭০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি তহবিল নিয়ে এসডিএফ এই অঞ্চলের উন্নয়ন বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, পানি, স্যানিটেশন এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির মতো খাতে সহায়তা করেছে।
১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
কুয়েনসেল