ভারতের নতুন সমস্যা- ‘হিমালয়ের মাথাব্যথা’! লে হালুয়া! হিমালয়ের মাথাব্যথা মানে নেপাল মাথাব্যথা তৈরি করেছে। নেপাল কেন মাথাব্যথা তৈরি করলো? পৃথিবীর একমাত্র ঘোষিত হিন্দু রাষ্ট্র হলো নেপাল। ভারত তো পৃথিবীর তাবত হিন্দু স্বার্থ বর্গা নিয়েছে। বাংলাদেশে কোথায় কি হলো তাতে তাদের ঘুম নাই।
নেপালেও কি হিন্দুদের রক্ষায় ভারতকে শোরগোল তুলতে হবে?! নেপালকেও সহ্য হচ্ছে না! আশপাশে তো দেখছি কাউকেই আর বন্ধু মনে করছে না ভারত! হিন্দু রাষ্ট্রটিকেও না! ভারতের মিডিয়ার ঘুম নেই। এখন নেপাল সাইজ করো!
ভারতের মিডিয়ায়, ইউটিউবে রাতদিন চলছে আজগুবি সব প্রচারণা। ভাবতেও অবাক লাগে এটা মহাত্মা গান্ধির ভারত, গোখলের ভারত, নেতাজী সুভাষ বসুর ভারত,পন্ডিত নেহরুর ভারত,মওলানা আজাদের ভারত!
চারপাশে সবাইকে শত্রু বানিয়ে ছাড়ছে তারা! বিস্ময়কর বৈকি।
তাহলে ভারতের বন্ধু কে?
নিউইয়র্ক টাইমসের মতে রাজনৈতিক কোন নেতৃত্ব দ্বারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ অর্থ দুর্নীতি ও পাচার হওয়ায় দায়ী একটি বাংলাদেশি রাজনৈতিক দল! খুন,গুমের মতো মানবাধিকার বিরোধি কর্মকান্ডে জড়িত সেই দলের নেতানেত্রীরা! সেই দলের সমর্থকরা! তাই তো!
এই এক লীগ ছাড়া দক্ষিন এশিয়ায় ভারতের আর কোন বন্ধু রইলো না!
ভাবা যায়! পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গনতান্ত্রিক দেশটির আজ এই অবস্থা! এটা তো কখনো হয়নি ভারতে। কেন এমন হচ্ছে তা না খুজে ভারতের সরকার, মিডিয়ার একাংশ ও হুজুগে জনগন দৌড়াচ্ছে সবার পিছনে। এতে কি একা হয়ে পড়ছে না ভারত? লাভ হচ্ছে কোন?
সব দেশে খালি খুত ধরা, শত্রু আবিষ্কার করার মধ্য দিয়ে বৃহৎ ভারত বরং প্রভাব হারাচ্ছে সবদিকে। নেপালের হিন্দুরাও তাই ভারতের মাতব্বরি সহ্য করতে পারছে না।
অথচ, দক্ষিন এশিয়ায় স্নেহশীল বড় ভাই হিসাবে ভারতের সামনে যথেষ্ট সুযোগ ছিল, এখনো আছে দাড়িয়ে যাবার। এই উপমহাদেশের সাধারণ মানুষের জীবন মান উন্নত করার জন্য একটা সহনশীল পরিবেশ তৈরি করলে অন্য দেশগুলোর তূলনায় ভারতের লাভ বেশি। কিন্তু চারদিকে উন্মত্ততা।
এদিকে এনডিটিভি তাদের খবরে জানিয়েছে-
বুধবার (৪ ডিসেম্বর, ২০২৪) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) নিয়ে চীনের সঙ্গে একটি কাঠামোগত চুক্তি সই করেছে নেপাল যা নেপালে চীনের প্রভাব বিস্তারের পথ সুগম করেছে।
বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআইয়েরর অংশ হওয়ার জন্য কাঠমান্ডুর জন্য প্রাথমিক বোঝাপড়ার সাত বছর পর, এই নতুন চুক্তি প্রকল্পে যোগ দিল নেপাল।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে. পি. শর্মা ওলি সোমবার থেকে বেইজিংয়ে ৪ দিনের সফরে রয়েছেন।
লিংক: https://www.facebook.com/share/p/1BL2WFQZLY/