বাংলাদেশকে তথ্য-যুদ্ধের বিরুদ্ধে সহায়তার প্রস্তাব চীনের

বাংলাদেশকে তথ্য-যুদ্ধের বিরুদ্ধে সহায়তার প্রস্তাব চীনের

বাংলাদেশে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লবের পর থেকে দেশটির সরকারকে চাপে ফেলতে দেশে-বিদেশে সরকারবিরোধী প্রচারণার যে ঢেউ বয়ে যাচ্ছে তা মোকাবেলার জন্য ঢাকাকে সহায়তা করতে চীন এগিয়ে এসেছে।

এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে সন্তর্পনে কূটনৈতিক পত্র বিনিময় হয়েছে বলে বিডিমিলিটারি’র এক্স-পোস্টে উল্লেখ করা হয়। চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশ সরকারকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছেন। তাতে তিনি, মিডিয়ার মিথ্যা বয়ান এবং অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে নলেজ শেয়ারিং এবং সহযোগিতার প্রস্তাব দেন। এসব মিডিয়া ও অনলাইন পোর্টালের অনেকগুলোর অবস্থান সীমান্তের ওপারে বলে চিহ্নিত করা গেছে।

এ ব্যাপারে একটি যৌথ সেমিনার আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি উভয় পক্ষ রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য ডিজিটাল ডোমেইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও কৌশল বিনিময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এই উদ্যোগের জন্য চীন ইতিমধ্যেই একজন ফোকাল অফিসার নিয়োগ করেছে এবং বাংলাদেশও শীঘ্রই একই উদ্যোগ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এক্স-পোস্টে বলা হয়, ঢাকাকে লক্ষ্য করে ক্রমবর্ধমান হাইব্রিড হুমকি এবং সমন্বিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার মোকাবেলায় এ ধরনের অংশীদারিত্ব আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তনশীল অগ্রাধিকার তুলে ধরে। এখানে মিথ্যা প্রপাগাণ্ড নিয়ন্ত্রণ আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।

এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বয়ান হলো এক রকম অস্ত্র। এর অগ্রভাগে থাকে প্রপাগাণ্ডা। আমরাও একা লড়তে চাই না।

চীনের এই সহযোগিতা তথ্য যুদ্ধ, ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব এবং পারসেপশন ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশের সক্ষমতা জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি ধাপ হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।