সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে আইন, বিচার ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তড়িঘড়ি করে তদন্তের নামে দায়সারা কাজ করেছে। এই ঘটনার শেকড় আরো গভীরে এবং স্বয়ং রাষ্ট্রদূত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর দায় এড়াতে পারেন না। জেনেভার মুভেনপিক হোটেলে উপদেষ্টাকে রাখার ব্যবস্থা করেছিলো জেনেভার বাংলাদেশ মিশন।
এই মুভেনপিক হোটেলে চাকরি করেন জেনেভা আওয়ামীলীগ এর প্রচার সম্পাদক শফিকুল জুনায়েদ। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমল থেকেই তার সাথে বর্তমান সেটাপের কর্মকর্তাদের বেশ ঘনিষ্ঠতা। এই শফিকুল জুনায়েদের মাধ্যমেই হোটেল বুকিং করা হয় এবং ঘটনার দিন সেই তথ্য ফাঁস করে দেয়। এই ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয় জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করেছে। এই বদলির আড়ালে দোষী ও হাসিনার দোসরদের আরো প্রটেকশন দেয়া হলো ।
শফিকুল জুনায়েদ, প্রচার সম্পাদকের মাধ্যমে হোটেল বুকিং করেছিলো মিশনের জনৈক কর্মকর্তা আর আইন উপদেষ্টার সফরটিতে সার্বিক সমন্বয় করেছে ফজলে লোহানী। ইতিপূর্বে সায়মা ওয়াজেদ যতবারই জেনেভায় গেছেন তার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিলো। এটা মিশনই আয়োজন করেছিলো। প্রশ্ন হলো দেশের এই পরিস্থিতিতে উপদেষ্টার সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়ে মিশন উদাসীন ছিলো নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন করেছে? কামরুল ইসলাম দাবি করেছেন এসাইনড প্রটোকল অফিসারের পরিবর্তে তিনি বিমানবন্দরে গিয়েছেন? কিভাবে এ ধরনের এসাইনমেনট পরিবর্তন করা সম্ভব হয়? নাকি আওয়ামী প্ররোচনায় সরকারের একজন উপদেষ্টাকে অপমানের নেপথ্যে ফ্যাসিস্টের দোসররা কাজ করেছে?
এসব প্রশ্নের নিষ্পত্তি করতে হলে রাষ্ট্রদূতসহ সকলকে প্রত্যাহার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে যেন রাষ্ট্রের কর্মচারীরা ষড়যন্ত্রের অংশ হতে না পারে।
লিংক: https://www.facebook.com/share/p/19LoE1GSSk/