আগামী অক্টোবরে ভারতের ফাইটার জেটের শক্তি ২৯ স্কোয়াড্রনে নেমে আসবে, যা পাকিস্তানের ২৫ স্কোয়াড্রনের কাছাকাছি। এটা ভারতের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। অন্যদিকে, চীনের বিমান বহরে ৬৬ স্কোয়াড্রনের বেশি জঙ্গিবিমান রয়েছে। সাধারণত এক স্কোয়াড্রনে ১৮ থেকে ২০টি জেট থাকে। সংখ্যার দিক থেকে ভারতের যখন প্রায় ৫২২টি জেট থাকবে তখন পাকিস্তানের থাকবে প্রায় ৪৫০টি এবং চীনের প্রায় ১,২০০টি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটতি মোকাবেলায় ভারতের প্রতি বছর কমপক্ষে ৪০টি ফাইটার জেট যুক্ত করা প্রয়োজন।
কিছু বিশেষজ্ঞ পত্রিকাটিকে জানিয়েছেন যে, ভারত যদি তার দক্ষতা উন্নত না করে – পুরনো ফাইটার জেট, মিরাজ, জাগুয়ার এবং অন্যান্য মিগ ভেরিয়েন্টসহ আরও স্কোয়াড্রন পর্যায়ক্রমে বাতিল করে দেওয়া হয় তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জঙ্গিবিমান সংখ্যা পাকিস্তান তাকে ছাড়িয়ে যাবে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর শেষ দুটি মিগ-২১ স্কোয়াড্রন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অবসরে যাচ্ছে।
২০১৫ সালে ভারত ১২৬টি মিডিয়াম মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (এমএমআরসিএ) ক্রয় চুক্তি বাতিল করে। এর ফলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধ শক্তির উপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। ভারত পরে ফ্রান্সের সাথে সরকার-টু-গভর্নমেন্ট চুক্তির মাধ্যমে ৩৬টি রাফালে জেট কিনেছিল। তবে সেগুলো ভারতীয় বিমান বাহিনীর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়। ২৬টি রাফালের জন্য নতুন অর্ডার দেওয়া হয়েছে – তবে সেগুলো ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য।
১১৪টি মাল্টি-রোল ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি সরকার।