ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার জন্য নিয়ামক সংস্থার অনুমোদন পেল ইলন মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্ক। কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা দেয় মাস্কের এই সংস্থা।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, স্টারলিঙ্ক ভারতের জাতীয় মহাকাশ নিয়ামক সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস অথরাইজ়েশন অ্যান্ড প্রোমোশন সেন্টার’ (ইনস্পেস)-এর ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে । তবে পরিষেবা চালু করার জন্য সরকারি দফতরের ছাড়পত্র এবং অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
৮ জুলাই থেকে পাঁচ বছরের এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ভারতের নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, ‘স্টারলিঙ্ক জেন-১’ ব্যবহার করে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে পারবে মাস্কের সংস্থা। তবে পাঁচ বছরের আগে ‘স্টারলিঙ্ক জেন-১’ বন্ধ হয়ে গেলে, ছাড়পত্রও মেয়াদও তখনই ফুরিয়ে যাবে। ‘স্টারলিঙ্ক জেন-১’ হল পৃথিবীপৃষ্ঠের কাছাকাছি কক্ষপথে (লো আর্থ অরবিট) ঘুরতে থাকা অনেকগুলি কৃত্রিম উপগ্রহের সমষ্টি। এর মধ্যে ৪,৪০৮টি কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে। সবগুলিই পৃথিবী থেকে ৫৪০-৫৭০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে। এগুলির মাধ্যমে ভারতে ৬০০ জিবি প্রতি সেকেন্ড গতিতে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে।
স্টারলিঙ্কের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, ‘লো আর্থ অরবিট’-এ অবস্থিত ছোট ছোট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে এই সংস্থা। পৃথিবীপৃষ্ঠের ১৬০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতার মধ্যে কক্ষপথগুলিকে ‘লো আর্থ অরবিট’ বলা হয়ে থাকে। নিচু অবস্থানের কারণে এই স্যাটেলাইট থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া যায়।
২০২২ সাল থেকে ভারতীয় বাজারে বাণিজ্যিক ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মাস্কের সংস্থা। ‘জিয়ো স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন্স’ এবং ‘ইউটেলস্যাট ওয়ানওয়েব’— এই দুই সংস্থা আগেই কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়েছে। এ বার স্টারলিঙ্ককেও ছাড়পত্র দিল ভারতের মহাকাশ নিয়ামক সংস্থা। সম্প্রতি ‘রিলায়েন্স জিয়ো’ এবং ‘ভারতী এয়ারটেল’-এর সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছে স্টারলিঙ্ক।