চীন থেকে আরো একটি নতুন সাবমেরিন হাতে পেল পাকিস্তান। হাঙর ক্যাটাগোরির এই সাবমেরিন প্রচলিত ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন। এই ধরনের মোট ৮টি হাঙর ক্লাস সাবমেরিন পাকিস্তানকে দেওয়ার কথা চীনের। এর মধ্যে এটি তৃতীয় সাবমেরিন বলে জানা গেছে।
সাবমেরিনটির নাম দেয়া হয়েছে পিএনএস-ম্যাংরো। ১৫ আগস্ট, চীনের উহানে পাকিস্তান নৌবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সাবমেরিনটি হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে ১৩ মার্চ মধ্যাঞ্চলীয় চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, উহানে ইয়াংজি নদীর তীরে চায়না শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন সাবমেরিনটিকে পানিতে ভাসায়।
চীনের থেকে আটটি সাবমেরিন কেনার জন্য চুক্তি করেছে পাকিস্তান । যার মধ্যে শেষ চারটি পাকিস্তানের বন্দর নগরীতে করাচি শিপইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে নির্মাণ করা হবে। এই হাঙর শ্রেণির সাবমেরিনকে চীনের ০৩৯এ সাবমেরিনের ‘রফতানি সংস্করণ’ হিসাবে বিবেচিত হয়। এ ধরনের সাবমেরিনে ৩৮ জন ক্রুসহ বিশেষ বাহিনীর সেনাদের জন্য আটটি জায়গা রয়েছে। সাবমেরিনটি টর্পেডো এবং অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তা সজ্জিত।
এদিকে, তৃতীয় হাঙর সাবমেরিন হাতে পাওয়ায় আরব সাগরে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আগের তুলনায় বেড়েছে। এতে প্রতিবেশী ভারতের উদ্বেগ বাড়বে বলে অনেকে মনে করছেন।
সাবমেরিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান নৌবাহিনীর উপপ্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল ওয়াইস আহমেদ বিলগ্রামি জোর দিয়ে বলেন, অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সেন্সর দিয়ে সজ্জিত হাঙর শ্রেণির সাবমেরিনগুলো এই অঞ্চলে সামুদ্রিক শৃঙ্খলার ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নেভালনিউজডটকম