কিয়াউকফিউ পৌছে গেছে আরাকান আর্মি, পতনের মুখে চীনা বিনিয়োগ হাব

কিয়াউকফিউ পৌছে গেছে আরাকান আর্মি, পতনের মুখে চীনা বিনিয়োগ হাব
আরকান আর্মি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অন্যতম শক্তিশালী সশস্ত্র জাতিগত গ্রুপ ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) বন্দরনগরী ও চীনের বিনিয়োগ হাব ‘কিয়াউকফিউ’র ৫ কিলোমিটারের মধ্যে পৌছে গেছে। যে কোন মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ এই নগরীর পতন ঘটতে পারে। এই রাজ্যের যে তিনটি বড় শহর এখনো সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিয়াউকফিউ তার একটি।

বুধবার (১১ জুন) দ্য ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এএ সেনারা কিয়াকফিউতে মিয়ানমারের দানিয়াওয়াদ্দি নৌঘাঁটি, চীনের তৈরি গভীর সমুদ্রবন্দর এবং পেট্রোলিয়ামের মজুতাগার ‘মেদ আইল্যান্ডে’র সাথে সংযুক্ত রুটগুলোতে জান্তার গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলো দখল করে নিয়েছে।

এএ-এর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, এএ সেনারা এখন কিয়াকফিউ থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৩২ নং পুলিশ ব্যাটালিয়নের আশপাশে জান্তার আউটপোস্টগুলো লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, পুলিশ ব্যাটালিয়ন রক্ষার জন্য জান্তা বাহিনী জেট ফাইটার, ওয়াই-১২ বিমান এবং ড্রোন মোতায়েন করেছে। জুনের শুরু থেকে দানিয়াওয়াদ্দি নৌ ঘাঁটির যুদ্ধজাহাজ এএ সেনাদের অবস্থানগুলোর উপর গোলাবর্ষণ করছে।

কিয়াকফিউ রক্ষার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি লাইট ইনফেনট্রি ব্যাটালিয়ন ও একটি ইনফেনট্রি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। সেনা ব্যাটালিয়নগুলো পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও শহরের মাঝামাঝি অবস্থিত। এছাড়া, কাছাকাছি গ্রাম এবং পাহাড়ের চূড়ায় সরকারি বাহিনীর আরো কিছু ফাঁড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, দানিয়াওয়াদ্দি নৌঘাঁটিতে গোলাবর্ষণ করছে এএ। ফলে ঘাঁটিটি সেনা ব্যাটালিয়গুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্দরের কাছে আরও দুটি নৌঘাঁটি রয়েছে।

জান্তা সেনারা এখন চীনা প্রকল্পগুলোর আশেপাশে বাঙ্কার খনন করে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করছে। সেখানে অস্ত্রশক্তি বৃদ্ধি এবং অস্ত্র, গোলাবারুদ ও খাদ্য মজুত করা হয়েছে।

রণাঙ্গনের সূত্রগুলো কিয়াকফিউর আশেপাশে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর দিয়েছে।