কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় শাসন জারির ছয় বছর পূর্তির দিনে (৫ আগস্ট) ভারতের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছেন, এ সপ্তাহেই অঞ্চলটির রাজ্যের মর্যাদা পুনর্বহালের আবেদনের উপর শুনানি শুরু হবে।
৮ আগস্ট শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এ শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। বহু বছর ধরে স্বাধীনতাকামী চলা মুসলিম-অধুষিত এ অঞ্চলের দুই বাসিন্দার আবেদনের প্রেক্ষিতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৯ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের সীমিত অধিকার বাতিল করে অঞ্চলটিকে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় রাজ্যে গণহারে গ্রেপ্তার ও দীর্ঘ সময়ের জন্য এর যোগাযোগব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। একই সঙ্গে কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা মোতায়েন বাড়িয়ে বিক্ষোভ দমনে তৎপর হয় সরকার।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়। কাশ্মীরের ভারতপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো, স্থানীয় বার অ্যাসোসিয়েশন ও একাধিক ব্যক্তি এটি চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট এই অনুচ্ছেদ বাতিলকে বৈধ বলে রায় দেন। তবে আদালত নির্দেশ দেন, জম্মু ও কাশ্মীরকে ‘যত দ্রুত সম্ভব ও সম্ভব হলে অবিলম্বে’ অন্যান্য ভারতীয় রাজ্যের মতো পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
মামলাকারীদের আইনজীবী সোয়ায়িব কুরেশি বলেন, ‘আমরা এই রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছি। আদালত আগেই এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিল।
ইতোমধ্যে সফলভাবে নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
গত নভেম্বর, কাশ্মীরে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিরোধী দলগুলো আঞ্চলিক পরিষদের নেতৃত্ব পায়। তবে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতা সীমিত ও বাস্তবিকভাবে অঞ্চলটি এখনো একটি দিল্লির নিযুক্ত প্রশাসকের মাধ্যমেই শাসিত হচ্ছে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্র হয় ও তখন থেকেই কাশ্মীর দুই দেশের মধ্যে বিভক্ত।
এএফপি