মিয়ানমারে জান্তার কারাগারে আটক হৃদরোগে আক্রান্ত ৮০ বছর বয়সী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি’র স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটছে। তার ছেলে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ কথা জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে কিম অ্যারিস বলেন, আমার মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার খবর শুনে আমি গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছি।
তিনি বলেন, সু চি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগের জটিলতায় ভুগছেন। কারাগারে তার স্বাস্থ্য দিনে দিনে আরো খারাপ হয়েছে। তিনি কারাগারের বাইরে থেকে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করতে চেয়েছেন।
তবে, এই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে কিনা তা জানার কোনও উপায় নেই বলে অ্যারিস উল্লেখ করেন।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে নোবেল শান্তি বিজয়ী সু চি’কে নির্জন কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
একটি ফেসবুক ভিডিওতে, কিম জান্তার আচরণকে “নিষ্ঠুর, প্রাণঘাতী ও অগ্রহণযোগ্য” বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, “তাকে মুক্তি দিতে হবে।”
যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অং সান সু চিকে মুক্তি দেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। বিলম্ব না করে তাকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেওয়াও একটি নৈতিক ও মানবিক বাধ্যবাধকতা।
এই নোবেলজয়ী ১৯৮৯ সাল থেকে চতুর্থবারের মতো সামরিক শাসনব্যবস্থায় আটক রয়েছেন।
সম্প্রতি, জান্তা তাকে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে এবং এরপর থেকে তাকে অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে।
তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমক্রেসি’র (এনএলডি) বেশ কয়েকজন নির্বাচিত নেতাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের কেউ কেউ জান্তা হেফাজতে মারা গেছেন অথবা মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে গুরুতর অবস্থায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রায় ২৯,৬২৮ জনকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে। অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)-এর হিসাব অনুযায়ী, শাসকগোষ্ঠী এ পর্যন্ত ৭,১৮২ জনকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৮৯০ জন শিশু এবং ১,৮০৬ জন নারী।
দ্য ইরাবতী