এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করেছে ইরান

এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করেছে ইরান

ইরান প্রথমবারের মতো রাশিয়া থেকে কেনা এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অপারেশনাল প্রস্তুতি পরীক্ষা করেছে। গত ২৬ জুলাই এই পরীক্ষা চালানো হয় বলে বিরুন.ইনফো নামক এক প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার কৌশলগত ভারসাম্য পুনর্গঠন করতে পারে এমন এক নাটকীয় উত্তেজনার মধ্যে ইরান রাশিয়ান-নির্মিত এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা চালায়। পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র (স্যাম) প্ল্যাটফর্মের ক্ষমতাও প্রদর্শন করা হয়।

সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, তেহরানের প্রায় ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কৌশলগতভাবে সংবেদনশীল শহর ইসফাহানের কাছে পরীক্ষাটি চালানো হয়। এর মধ্য দিয়ে ইরানে এস-৪০০ মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেল।

আঞ্চলিক বিশ্লেষকরা এই পরীক্ষাকে ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখছেন। এর মানে হলো, ভবিষ্যতে ইরানের আকাশসীমায় শত্রুর কোন বিমান বাধা ছাড়াই অনুপ্রবেশ করতে পারবে না।

এটি ছিল এস-৪০০ ব্যাটারির সমন্বিত পরীক্ষা। এতে ৯১এন৬ই “বিগ বার্ড” একুইজিশন রাডার, ৯২এন৬ই “গ্রেভ স্টোন” এনগেজমেন্ট রাডার, সেন্ট্রালাইজড কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল ইউনিট এবং একাধিক ৫পি৮৫টিই২ ট্রান্সপোর্টার ইরেক্টর লঞ্চার ব্যবহার করা হয়।

মহড়ায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে ছিল ৪৮এন৬ই৩, যার পাল্লা ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এবং সম্ভাবত আরও মারাত্মক ৪০এন৬ ক্ষেপণাস্ত্র, যা 380 কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে হাই-ভ্যালু এরিয়াল টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই পরীক্ষার ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি বা ফুটেজ প্রকাশ করেনি। তবে আঞ্চলিক ওএসআইএনটি প্ল্যাটফর্মগুলো এস-৪০০ রাডার প্রোফাইলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অস্বাভাবিক তৎপরতা চিহ্নিত করেছে।

পরীক্ষার আগে তেহরানে একটি রাশিয়ান কৌশলগত ইল-৭৬ ক্যান্ডিড পরিবহন বিমান অবতরণ করতে দেখা গেছে। এটি হলো শীতল যুদ্ধের যুগের ভারী-পরিবহন বিমান, যা ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার ইউনিট বা যুদ্ধবিমানের উপাদানসহ ৫০ টন পর্যন্ত সরঞ্জাম বহন করতে পারে। গত এক বছরে এই বিমান কয়েক দফা ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে।