ইসরায়েলের অ্যারো অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল ইন্টারসেপ্টরের মজুদ মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এতে তেল আবিব এবং ওয়াশিংটনের প্রতিরক্ষা মহলে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ ইহুদি রাষ্ট্রটি ইরানের প্রবল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবেলা করতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে মার্কিন প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো দেশটির সংবাদমাধ্যমকে এ কথা বলেছে। সূত্রগুলো বলছে যে ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (আইএআই) এবং বোয়িংয়ের যৌথভাবে তৈরি এ্যারো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নামে পরিচিত দেশটির সবচেয়ে কৌশলগত ‘এক্সো-এটমোসফেরিক ডিফেন্স সিস্টেমের’ রসদ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। ফলে ইসরায়েল এখন সবচেয়ে কঠিন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সঙ্কটের মুখোমুখি।
এই ঘাটতি ইতিমধ্যেই ইসরায়েলি রণ পরিকল্পনাকারীদের ক্রমেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করছে। মানে কোন ক্ষেপনাস্ত্রটিকে বাধা দেয়া হবে আর কোনটি দেয়া হবে না তাদেরকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। এতে জনবহুল নগর কেন্দ্র এবং কৌশলগত অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলে আকস্মিকভাবে ইরানে হামলা শুরু করলে এই সঙ্কট তৈরি হয়। প্রতিশোধ হিসেবে ইরানও কয়েক শ’ ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। সেই সাথে ছিল আত্মঘাতী ড্রোনের ঝাঁক। এগুলো ইসরায়েলের বহু-স্তরের বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনেকাংশে অচল করে দেয়।
ইসরায়েলের আয়রন ডোম স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র এবং ডেভিড’স স্লিং মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র মোকাবেলা করে। কিন্তু দূর-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রধান ঢাল – অ্যারো সিস্টেম – এখন অকার্যকর হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদলে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাটতি সম্পর্কে সচেতন ছিল। তাই তারা দ্রুত সামরিক সহায়তা পাঠানো এবং যৌথ ইনভেন্টরি শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা জোরদার করার জন্য পর্দার আড়ালে কাজ করছিল।