ইরানে বাঙ্কার বাস্টার বোমা হামলা করবে যুক্তরাষ্ট্র?

ইরানে বাঙ্কার বাস্টার বোমা হামলা করবে যুক্তরাষ্ট্র?
যুক্তরাষ্ট্রের একটি বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান ও চারটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের ফ্লাইপাস্ট। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান দেশটির পশ্চিম উপকূল থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। এটি ইরানে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি, নাকি তেহরানের ওপর কূটনৈতিক চাপ তৈরির কৌশল—তা স্পষ্ট নয়।

ইংরেজি ‘ডব্লিউ’ অক্ষরের মতো দেখতে বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান হলো রাডারে কম-দৃশ্যমান একটি কৌশলগত, দূরপাল্লার, ভারী বোমারু বিমান। অত্যাধুনিক এই বিমান দুর্ভেদ্য বিমান-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম। এই বিমানের ককপিট বা চালকে আসনে সাধারণত দুজন ক্রু থাকেন। বাম দিকে থাকেন পাইলট এবং ডান দিকে কমান্ডার। নির্দিষ্ট মিশনের প্রয়োজনে অতিরিক্ত একজন ক্রু থাকতে পারেন। বিমানটি লম্বায় ৬৯ ফুন, উচ্চতা ১৭ ফুট এবং এর ডানার বিস্তার ১৭২ ফুট। কম্পোজিট ধাতু দিয়ে এর বডি নির্মিত ফলে রাডারে এর উপস্থিতি ধরা পড়ে না।

এই বিমানগুলো এমন বিশাল বোমা বহনে সক্ষম, যা ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার (২১ জুন) বিকেলে নিউ জার্সি থেকে হোয়াইট হাউসে ফিরছেন। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প জানিয়েছেন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য তিনি দুই সপ্তাহ সময় নিচ্ছেন। এর মধ্যেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন ইরানে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালাবে কি না। ইতিমধ্যে ইরানে হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন ট্রাম্প।

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরির হুইটম্যান বিমান ঘাঁটি থেকে একাধিক বি-২ বোমারু বিমান উড্ডয়ন করেছে।

কিছু ফ্লাইট ট্র্যাকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানাচ্ছে, বোমারু বিমানগুলো গুয়ামের উদ্দেশে যাচ্ছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা আছে।

আল–জাজিরার খবরে বলা হয়, বি–২ বোমারু বিমানগুলো ভারত মহাসাগরের দিয়েগো গার্সিয়া ঘাঁটিতে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করা হয়েছে। দিয়েগো গার্সিয়াতে এই বিমানগুলো মোতায়েনের মানে হলো, এই ঘাঁটি থেকে উড়ার পর একবার মাত্র জ্বালানি নিয়ে (রিফুয়েলিং) বোমারু বিমানগুলো ইরানে হামলা চালাতে পারবে।

বি-২ বোমারু বিমানগুলো ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা বহনে সক্ষম। যা ইরানের ভূগর্ভস্থ ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে আলোচনা আছে।