ইঞ্জিনের অভাবে আকাশে উড়তে পারছে না তেজাস

ইঞ্জিনের অভাবে আকাশে উড়তে পারছে না তেজাস

ইঞ্জিনের অভাবে আকাশে উড়তে পারছে না ভারতের অত্যাধুনিক মাল্টিরোল কম্ব্যাট ফাইটার- তেজাস। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্‌স লিমিটেড (এইচএএল)-এর তৈরি ৪.৫ জেনারেশনের সিঙ্গেল-ইঞ্জিন চালিত এসব জঙ্গিবিমানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জিই অ্যারোস্পেস’-এর তৈরি এফ৪০৪ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। ইঞ্জিন সরবরাহের নির্ধারিত সময় অনেক আগেই পার হয়ে গেছে। এখন শোনা যাচ্ছে, আগামী বছরের মার্চ মাস নাগাদ ইঞ্জিন পাওয়া যাবে। তখনই যুদ্ধবিমানগুলো ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, প্রথমে জানা গিয়েছিল, জুন মাসের শেষ দিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে প্রথম তেজাস এমকে-ওয়ান-এ বিমান তুলে দেওয়া হতে পারে। সেইমতো পুরোদমে প্রস্তুতিও চলছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (২৪ জুন) এইচএএল-এর চেয়ারম্যান ডিকে সুনীল জানিয়েছেন, সরবরাহকারী মার্কিন সংস্থা ‘জিই অ্যারোস্পেস’ বিমানের এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহ করতে দেরি করায় নির্ধারিত সময়ে বিমানগুলো বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া যাচ্ছে না।

সুনীল বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে ছয়টি বিমান রয়েছে। কিন্তু এখনও মার্কিন সংস্থা ইঞ্জিন সরবরাহ করেনি। ২০২৩ সালে তাদের ইঞ্জিন পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু এত দিন পর্যন্ত আমাদের কাছে মাত্র একটি ইঞ্জিন এসে পৌঁছেছে।

সম্প্রতি ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিংহ তেজাস এমকে-ওয়ান-এ যুদ্ধবিমান সরবরাহে দেরির বিষয়টি জনসমক্ষে নিয়ে আসেন।

সুনীল দাবি করেন যে অন্য সংস্থার গাফিলতির কারণেই এই দেরি। তবে চলতি অর্থবছরে জিই অ্যারোস্পেস-এর ১২টি ইঞ্জিন এইচএএলকে সরবরাহ করার কথা রয়েছে। সুনীলের মতে, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই ওই ইঞ্জিনগুলো পাওয়া যাবে। সেগুলো পেলেই ছয়টি বিমান বিমানবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।

তেজস এমকে-ওয়ান-এ যুদ্ধবিমান আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমিতে হামলা চালাতে সক্ষম। এগুলো দিয়ে ভারত তার পুরনো মিগ ২১-এর বহর বদলে ফেলতে চাইছে।