বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এভিয়েশন গ্রুপ অনেকটা নীরবে, ইউএস আর্মারের তৈরি উচ্চ-কার্যক্ষমতাসম্পন্ন ব্যালিস্টিক ভেস্ট এসিএস কনসিলেবল ভেস্ট ক্যারিয়ার সংগ্রহ করেছে।
এতে বুঝা যায় সশস্ত্র বাহিনী কেবল সক্ষমতা বৃদ্ধি নয় বরং অপারেশনাল পরিবেশ, বিশেষ করে আকাশপথে উচ্চ-গতিতে চলার সময় টিকে থাকার সামর্থ্য জোরদার করার প্রতি মনযোগ দিয়েছে।
এসিএস ক্যারিয়ার এমনভাবে তৈরি যেন দীর্ঘ সময় পরিধান করে থাকার পরও এটি আরামদায়ক হয় এবং সর্বোচ্চ ব্যালিস্টিক কভারেজ দেয়। একটি বিশেষভাবে স্বাগত বৈশিষ্ট্য হল
এটি অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে আর্দ্রতা-শোষণকারী, পর্যাপ্ত বায়ুচলাচলের উপযুক্ত, যা বাংলাদেশের মতো অসহনীয় উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়।
এসিএস ক্যারিয়ারটি এমনভাবে ডিজাইন করা যেন ইউনিফর্মের নীতে পরিধান করার পরও ব্যালিস্টিক প্যানেল এবং ট্রমা প্লেট সন্নিবেশ করা যায়। ক্যারিয়ারের ছয়-পয়েন্ট ভেলক্রো অ্যাডজাস্টমেন্ট এবং কাঁধের স্ট্র্যাপগুলি শরীরের সঙ্গে যুৎসইভাবে ফিট হয়। মাত্র ৩২০ গ্রাম ওজনের এই সিস্টেমটি অপারেটরের মনযোগের বিচ্যুতি না ঘটিয়েই গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা প্রদান করে। এটি বিমান ক্রু এবং সহায়তা কর্মীদের জন্য আদর্শ।
যুদ্ধক্ষেত্রের গতিশীলতা, অনুসন্ধান এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এভিয়েশন গ্রুপ হালকা ওজনের, উচ্চ-কার্যক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য এই এসিএস বাছাই করেছে। এটা উন্নয়ন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর “ফোর্সেস গোল ২০৩০”-এর সাথে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে বাহিনীর গতিশীল ক্ষমতাই কেবল বাড়বে না বরং সবক্ষেত্রে অপারেশনাল সামর্থ্যও জোরদার হবে।
ভারতের ভূ-রাজনৈতিক চাপ বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠার কারণে জনবলের সুরক্ষায় এই ধরনের উদ্যোগ শুধু সৌন্দর্য্য বাড়ানোর কাজ করবে না বরং অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে একটি ঢালও তৈরি করবে।
সূত্র: বিডিমিলিটারি