‘আর্মি রকেট ফোর্স’ তৈরি করছে পাকিস্তান

‘আর্মি রকেট ফোর্স’ তৈরি করছে পাকিস্তান
ছবি: প্রতীকী

প্রচলিত যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সামরিক বাহিনীর অধীনে একটি নতুন ‘ফোর্স’ তৈরি করবে পাকিস্তান। প্রতিবেশী ভারতের সাথে পাল্লা দিয়ে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত মে মাসে ভারতের সাথে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র সংঘাতে জড়িত হওয়া উপলক্ষ্যে ১৩ আগস্ট রাতে ইসলামাবাদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ‘আর্মি রকেট ফোর্স’ নামে এই নতুন বাহিনী গঠনের ঘোষণা দেন। পাকিস্তানের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, এই বাহিনী আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত হবে। এটা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যুদ্ধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হবে।

তিনি বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।

তবে একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান যে সেনাবাহিনীতে এই বাহিনীর নিজস্ব কমান্ড থাকবে। এর কাজ হবে প্রচলিত যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা এবং মোতায়েন দেখভাল করা।

তিনি বলেন, স্পষ্টত ভারতকে লক্ষ্য করে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে প্রতিবেশী দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে চলেছে।

গত এপ্রিলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের পর দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ উত্তেজনা শুরু হয়। এই হামলার জন্য নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করে। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

পরের মাসে ভারত পাকিস্তানে হামলা চালালে যুদ্ধ বাঁধে, যা ছিল কয়েক দশকের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর লড়াই। চার দিনব্যাপী যুদ্ধে উভয় পক্ষ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাধ্যমে এটি শেষ হয়।

যুদ্ধ বন্ধে ওয়াশিংটনের ভূমিকা ইসলামাবাদ স্বীকার করে নিলেও ভারত তা অস্বীকার করে।

রয়টার্স