চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব নির্ধারণের জন্য বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনী, রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পাউডেল এবং জেন-জি’র প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নাম প্রস্তাব করেছেন জেন-জি বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার পরে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সচিব রমনকুমার কর্ণ একথা জানান।
তবে আন্দোলকারীরা সুশীলা কার্কির নাম প্রস্তাব করলেও, তিনিই শেষপর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
নেপালের সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোয়িসেশনের সচিব জানিয়েছেন, নেপালের সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগডেলের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন দাবির তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ৭৩ বছর বয়সী সুশীলার নাম সুপারিশ করেন তারা।
তবে মূলত রাজনৈতিক বৃত্তের বাইরে থাকায় প্রাজ্ঞ হিসেবে আন্দোলনকারীরা তাকেই বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সুশীলার স্বামী নেপালের যুব কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। তবে সুশীলা দল বা রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছেন। নেপালের ইতিহাসে একমাত্র নারী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন। আর সেনাপ্রধান যদি আন্দোলনকারীদের প্রস্তাব মেনে নেন, তাহলে নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হবেন সুশীলা।
নেপালে আপাতত পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আছে। সারাদেশে মোতায়েন রয়েছে সেনা।
১৯৭৫ সালে ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন সুশীলা। ১৯৭৯ সালে তিনি বিরাটনগরে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেইসঙ্গে কাজ করতে থাকেন সহকারি শিক্ষক হিসেবেও। ২০০৯ সালে তাকে নেপালের সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডহক বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ২০০৯ সালে নেপালের প্রধান বিচারপতি হন তিনি।
দ্য হিমালয়ান